চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া গ্রামের মোল্লা বাড়ির নুরু মোল্লার মেয়ে রুনা আক্তার। তার মায়ের নাম পারভীন বেগম। সে ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদরাসার ২০১৯ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী ছিল। কিন্তু প্রবেশপত্রসহ সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্রে মায়ের নাম ভুল থাকায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি রুনা আক্তার।
এ ঘটনায় তার বাবা নুরু মোল্লা চাঁদপুর মডেল থানা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
নুরু মোল্লা জানান, মাদরাসার অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আসলেও রুনার প্রবেশপত্র আসেনি। এ কারণে ক্ষোভ ও অভিমান করে সে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
মাদরাসার অফিস সহকারী আব্দুল খালেক হাওলাদার জানান, পিতার নাম ঠিক থাকলেও রুনার মায়ের নাম প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ভুল দেওয়ার কারণে তার প্রবেশপত্র দিনাজপুর জেলায় চলে গেছে। কিন্তু পরীক্ষার পূর্ব পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়নি।
শিক্ষার্থীর মামা ওমর ফারুক অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের সুপার আহসান উল্যাহর দায়িত্ব অবহেলার কারণে তার ভাগনি পরীক্ষা দিতে পারেনি। সে এখন একটি বছর পিছিয়ে পড়ল। পরীক্ষার পূর্বে তার সকল বকেয়া বাবদ ৫ হাজার টাকাও পরিশোধ করা হয়েছে।’
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে না পারার কারণ তদন্ত করে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
রুনার প্রবেশপত্র না আসার কারণ জানতে ওই মাদরাসার সুপার (প্রধান) আহসান উল্যার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।