নোয়াখালীতে বাল্যবিয়ে বন্ধ করায় মাদরাসা শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম তরিকুল মাওলাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলেও সোমবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দ্বীপ হাতিয়ার হরিণী ইউনিয়নে ১৩ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে বিয়ে দেয়া হচ্ছিল। পরে স্থানীয় মাদরাসা শিক্ষক তরিকুল মাওলার হস্তক্ষেপে ওই বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় বর-কনে উভয় পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বিয়ে বাড়িতেই তরিকুলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে।
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিক্ষক তরিকুল মাওলা গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আটজনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ মামলাটি নথিবদ্ধ করে পরের দিন শনিবার রাতে। তবে এ ঘটনায় সোমবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ দেখা গেছে। স্থানীয় অনেকেই বলছে, বাল্যবিয়ে বন্ধ করায় শিক্ষকের প্রতি এ কেমন আচরণ? তিনি তো ভালোর জন্যই এ কাজটি করেছেন।
তরিকুল মাওলার অভিযোগ, তিনি ভয়ে মাদরাসায় যেতে পারছেন না।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর এ আলম জানান, মাদরাসা শিক্ষক বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানালে তাৎক্ষণিক বিয়ে বন্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। এছাড়া শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনাটি তাকে জানানো হলে থানায় অভিযোগ করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।