পরকীয়া ফাঁস হওয়ায় গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন। বগুড়ার ধুনট থানায় কর্মরত সহকারি উপ-পরিদর্শক(এএসআই) রোজিনা আকতার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০ টার দিকে তিনি মারা যান।
চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল রফিকের সাথে পরকীয়া সর্ম্পক ফাঁস হওয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন পুলিশ কর্মকর্তা রোজিনা আকতার। মঙ্গলবার রাতে শজিমেক হাসপাতালে বার্তা২৪ কে এতথ্য জানান, রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া।
মঙ্গলবার দুপুরে ধুনটে ভাড়া বাসায় রোজিনা আকতার গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। থানা পুলিশ তাকে দ্রুত উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। মেয়ে অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন নাটোর জেলার সিংড়া থানার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়া। মেয়ের আত্মহত্যার জন্য তিনি নাটোরের গুরুদাসপুর থানার গোপিনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা পুলিশ কনস্টেবল রফিককে দায়ী করে তার বিচার দাবি করেন।
নান্নু মিয়া জানান, একবছর আগে রোজিনা বগুড়ার ধুনট থানায় যোগদান করেন। এক ছেলে এবং এক মেয়ে নিয়ে তিনি বসবাস করতেন। স্বামী হাসান আলী স্কুল শিক্ষক বসবাস করেন নাটোরের সিংড়ায়। স্বামীর সাথে সর্ম্পক ভাল না থাকায় রোজিনা তার মা ও দুই সন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকতেন।
নান্নু মিয়া বলেন, কয়েকদিন আগে রোজিনা মোবাইল ফোনে কথা বলার পর বাসায় কান্নাকাটি করে। তার মা কৌশলে নাম্বারটি সংগ্রহ করে রোজিনার বাবাকে দেন। তিনি ওই নাম্বারে যোগাযোগ করে জানতে পারেন কনস্টেবল রফিকের সাথে কথা বলার পর থেকেই রোজিনা কান্না করেছেন।
রফিকের সাথে পরকীয়ার বিষয় নিয়ে মার সাথে রোজিনার ঝগড়াঝাটি হয়। গত দুই দিন ধরে রোজিনা ঠিকমত খাচ্ছিলেন না। মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ করে বাসায় এসে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন আত্মহত্যার কারন অনুসন্ধান করে জানতে হবে। তবে রোজিনার উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। এর আগেই তিনি মারা যান।