এক জেলা প্রশাসকের গল্প

গাইবান্ধা, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গাইবান্ধা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-19 10:12:06

সদ্য যোগদানকৃত গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিন। যিনি ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের কাছে প্রমাণ করেছেন জেলা প্রশাসক মানে একটি বৃহৎ বটগাছ। যার রয়েছে বিস্তৃত ছায়া আর নিরাপত্তার ডাল-পালা। যার ভেতরে রয়েছে মানবিকতার এক প্রবহমান ঝর্ণাধারা। যার চোখ থেকে বিচ্ছুরিত হয় ভালোবাসার অমিয় সুধা। যার বিবেক সুউচ্চ দণ্ডায়মান।

জেলা প্রশাসকের আদলে যিনি একজন পরিপূর্ণ মানুষ। যার মনুষ্যত্ব সকল বিভেদ ভেঙে ধনী-গরিব, নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের গান গেয়ে ওঠে। অসহায় মানুষের মর্মবেদনায় যার হৃদয় হাহাকার করে ওঠে। আর অভুক্তের মুখে খাবার তুলে দিতে পারলে, বস্ত্রহীনকে বস্ত্র দিলে, নির্যাতিতের পাশে শক্ত হয়ে দাঁড়ালে যার মন ও বিবেক প্রশান্তিতে ভরে ওঠে। সেই জেলা প্রশাসক।

গাইবান্ধা জেলার জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে যে মানুষগুলো নিজেদের মানবিকতা, ভালোবাসা ও উদারতা উজাড় করে সাধারণ মানুষের মাঝে নিজেকে মিশিয়ে নেন তিনি জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন।

ইতোপূর্বে গণ শুনানিতে নিজে নিচে নেমে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শুনে সমাধানের পথ বাতলে দিয়ে সাধারণ মানুষের আপনজনে পরিণত হয়েছেন। এছাড়া তার অফিসে গ্রামের একজন সাধারণ কৃষক, একজন মুটে-মজুর গেলেও তার সাথে হাসিমুখে কথা বলে তিনি সর্ব মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। গাইবান্ধায় যোগদানের পর থেকে একের পর এক ব্যতিক্রমী চিন্তা চেতনায় আকৃষ্ট করলেও এবার এক অকল্পনীয় ও অভাবনীয় নজির স্থাপন করেছেন গাইবান্ধার এই জেলা প্রশাসক।

বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে অফিসে আসার পথে চোখে পড়ে এক অসহায় বৃদ্ধাকে। জরাজীর্ণ তেল চিটচিটে পোশাক, যবুথবু শরীর, মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতেও পারেন না। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছেন। সেই সাথে দরিদ্রতার ছাপ স্পষ্ট। কুচকে যাওয়া চামড়ার ভাজে বঞ্চনার দগদগে ঘা। স্বভাবজাতভাবেই বৃদ্ধাকে নিয়ে আসলেন অফিসে। জানা যায় সাঘাটা থেকে এসেছেন, বয়েসের ভারে নিজের নাম বলতে পারেননি ওই বৃদ্ধা।

জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিন বলেন, 'আমি সাধারণ মানুষের সেবা করতে চাই। এজন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা পেলে গাইবান্ধাবাসীর সেবক হিসেবে থাকতে পারব।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর