নোয়াখালী সদর উপজেলার দারুল উলূম আল ইসলামিয়া চর মটুয়া মাদরাসার দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শারীরিক প্রতিবন্ধী এক ছাত্রকে দিনভর আটকে রেখে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।
মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আরমান হোসেন (২০) নামের ওই ছাত্রকে মারধর করে তারই দুই শিক্ষক। এতে গুরুতর আহত হওয়া আরমানকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরমান পূর্ব চর মটুয়া ইউনিয়নের চর কাউনিয়া গ্রামের আজাদ হোসেনের ছেলে। সে ওই মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর (জামাতে নুহুম) ছাত্র।
মাদরাসাটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, কয়েক দিন আগে এক ছাত্রের একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষক আবুল কাশেম ও আবু বক্কর ষষ্ঠ শ্রেণীর দুই ছাত্র আরমান হোসেনকে একটি কক্ষে আটকে রেখে হাত-পা বেঁধে পেটান। সন্ধ্যার দিকে অভিবাবকদের খবর দিয়ে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মাদরাসার শিক্ষক সহিদ উল্যা মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে ওই ছাত্রকে পেটানোর কথা স্বীকার করেছেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হোসেন মো.আরাফাত জানান, আরমানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় আরমানের বাবা আজাদ হোসেন সুধারাম মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই অভিযুক্ত দুই শিক্ষক পালিয়ে যায়।