কাকতাড়ুয়া ফসলি ক্ষেতের রক্ষক। এটি গ্রাম্য সংস্কৃতিতে বেশ জনপ্রিয়। সাধারণত পাখির হাত থেকে জমির ফসল রক্ষা করতে কাকতাড়ুয়া ব্যবহার করে কৃষকরা। কিন্তু এবার এর ব্যবহার দেখা গেছে মফস্বল শহরের বরই গাছের চূড়ায়।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সমসেরাবাদ এলাকায় নিলুফা কটেজে বরই গাছের চূড়ায় এটি দেখা যায়। একটি লাঠিতে সাদা গেঞ্জি পরিহিত কাকতাড়ুয়াটি লাগানো হয়েছে পাখির হাত থেকে ফলগুলো রক্ষার জন্য।
জানা গেছে, পরিবারের চাহিদা পূরণ করার জন্য ওই বাসার সামনে খালি জায়গায় বিভিন্ন ফলের চারা রোপণ করা হয়েছে। ফল ধরলেই পাখি খেতে এসে সব নষ্ট করে দেয়। এতে ফল আর সংগ্রহ করা যায় না। পরিবারের চাহিদা আর মেটানো সম্ভব হয় না।
জানতে চাইলে পরিবারের সদস্য রিংকু জিয়া বলেন, ‘গাছে বরই ধরার পর থেকেই পাখির উৎপাত বেড়ে গেছে। পাকা বরইয়ের সঙ্গে সঙ্গে কাঁচাগুলোও নষ্ট করে ফেলে।’
ওই পরিবারের মেজো ছেলে মো. আমিন বলেন, ‘পাখিও এখন ডিজিটাল হয়ে গেছে। কাকতাড়ুয়া দিয়েও লাভ হয়নি। প্রতিদিনই পাখি এসে ফলগুলো নষ্ট করে ফেলছে।’