ধুলাময় সড়কে দুর্ভোগ চরমে

কুষ্টিয়া, দেশের খবর

এস এম জামাল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 07:40:41

কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের পুরোটায় দেখে চেনার উপায় নেই এটি সড়ক নাকি গ্রামীণ এবড়ো-থেবড়ো সড়ক। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কে ধুলার কারণে দিনের বেলায় অন্ধকার নেমে আসে। শুধু অন্ধকার এই সড়কেই নয়, সড়কের পাশে বসবাসরত মানুষজনের জীবন ওষ্ঠাগত।

রাস্তা খোঁড়াখুড়ি ও ধুলাবালিতে সড়কের পাশের দোকান মালিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা যেমন ভোগান্তিতে পড়েছেন পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে বাস, ট্রাক, থ্রিহুইলারসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল।

ধুলার মধ্য দিয়ে এই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। এতে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে। এছাড়া প্রতিনিয়তই সড়কে যানবাহন বিকল হওয়াসহ ঘটছে দুর্ঘটনা।

মহাসড়কের আশপাশের ঘর-বাড়ি, দোকান আর গাছপালাও এখন ধুলায় ছেয়ে গেছে। সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় ধুলায় কিছুই দেখা যায় না এমনকি নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হয় চালক ও যাত্রীদের। সড়কে জেলার মানুষগুলোতে অতিষ্ঠ করে তুলেছে।

সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ২৭ কিলোমিটার কুষ্টিয়া অংশে পড়েছে। যা কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকা থেকে শুরু হয়ে কুমারখালী ও খোকসা উপজেলার শেষ প্রান্তে রাজবাড়ীর আলেকদিয়ায় শেষ হয়েছে। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহসহ আশপাশের কয়েকটি জেলার হালকা ও ভারী কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে।

কুমারখালী থেকে ঢাকাগামী ছেড়ে যাওয়া লালন পরিবহনের চালক আশরাফ আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ধুলাময় এ সড়কে চলাচলই যেন দায় হয়ে পড়েছে। ধীরগতিতে গাড়ি চালাতেও কষ্ট হয়।’

খোকসার জসিম উদ্দিন নামে এক যাত্রী আক্ষেপ করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'রাস্তার কথা বলে কোনো লাভ নেই। আমাদের ভোগান্তি আমাদেরই পোহাতে হবে। ধুলাবালিতে রাস্তায় চলা দায় হয়ে পড়েছে।’

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার বলেন, ইদানীং কুষ্টিয়ায় শ্বাসকষ্ট, যক্ষ্মা, হাঁপানি, ব্রংকাইটিস, সর্দি, কাশি, হাঁচিসহ চোখের রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। ধুলার দূষণ এসব রোগের অন্যতম কারণ। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ছে।’

সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজের) কুষ্টিয়ার  নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই আঞ্চলিক সড়কের উন্নতিকরণে কাজ চলছে। মাঝে কিছুদিন বালুর অভাবে কাজ বন্ধ ছিলো। সব ঠিক হয়ে গেছে।আশা করি খুব শিগগিরই আমরা কাজ শেষ করতে পারবো।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর