রাস্তা তৈরির কথা বলে জেলার মহেশপুর উপজেলার কাজিরবেড় ইউনিয়নের লিয়নপুর বোষ্টমতলা এলাকার শতাধিক গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে এক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা। এ ঘটনা জানার পর রোববার সকালে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউনিয়নয়ন ভূমি অফিসের সহকারী আকরাম হোসেনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলো-মহেশপুর উপজেলার কাজিরবেড় ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মফিজুর রহমান ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক।
স্থানীয়রা জানায়, ইউনিয়নের শালকো বিল-বাওড়ের পাশে লিয়নপুর বোষ্টমতলা এলাকায় একটি মাটির রাস্তা আছে। সেই রাস্তার পাশে কয়েকশ বাবলা, ভাটাম, মেহগনি, কড়াই ও সেগুন গাছ ছিল। স্থানীয় ইউপি সদস্য মফিজুর রহমান সেই রাস্তাটি ভাল ভাবে তৈরি করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেন এবং রাস্তা হবার আগেই ছোট বড় গাছ কাটা শুরু করেন। গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত শতাধিক গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, এ কাজে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হকও জড়িত রয়েছেন। কয়েক লাখ টাকার গাছ কেটে ইতিমধ্যে পাশ্ববর্তী ইটভাটা ও বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। রোববার সকালেও রাস্তার পাশের গাছ কাটতে দেখা গেছে। পরে স্থানীয়রা গাছ কাটার বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাশ্বতী শীল জানালে তিনি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারীকে পাঠিয়েছেন গাছ কাটা বন্ধ করতে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মফিজুর রহমান বলেন, এটি একটি ভাগাড়। সেখানে কিছু গাছ ছিলো রাস্তা হবার কথা শোনার পর স্থানীয়রা রাস্তার পাশের গাছ গুলো কেটে নিয়ে গেছে। অনেকে ব্যক্তিগত গাছ কেটে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, যারা রাস্তা মাপার কাজ করছিল (সার্ভেয়ার) তাদের খরচের জন্য কয়েকটি গাছ কাটা হয়। আর বাকি গাছগুলো স্থানীয় কয়েকজন কেটে আমার নাম ভাঙিয়েছে। এই ঘটনার সাথে আমি জড়িত না।
অভিযুক্ত অন্যজন আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক বলেন, তার নাম ভাঙিয়ে এই গাছগুলো কাটা হয়েছে। যা আদৌও ঠিক হয়নি। তিনি স্বীকার করেন গত ৩ দিনে শতাধিক বিভিন্ন জাতের গাছ কেটেছে লোকজন।
এ ব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাশ্বতী শীল জানান, রোববার সকালে তিনি বিষয়টি জানার পর সাথে সাথেই কাজিরবেড় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারীকে পাঠিয়েছিলেন গাছ কাটা বন্ধ করার জন্য। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।