দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও দারিদ্র বিমোচনে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের গরিব অসহায়দের গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছে। 'যার জমি আছে ঘর নেই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ' প্রকল্পের আওতায় এই ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। যেখানে চাঁদপুরের কচুয়ায় ২১৬ টি গরিব ও অসহায় পরিবারের মাঝে গৃহ নির্মাণ করা হয়।
২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রতি ওয়ার্ডে ২টি করে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যাদের এক থেকে ১০ শতাংশ জমি আছে কিন্তু ঘর নেই বা ঘর থাকলেও তা বসবাসের অনুপযোগী এমন পরিবারকে ঘর নির্মাণের জন্য প্রতিটি গৃহ নির্মাণে ১লক্ষ টাকা করে ২কোটি ১৬ লক্ষ টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়।
আর বর্তমানে এসব গৃহ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে এবং কোথাও কোথাও গৃহ নির্মাণ শেষে উপকারভোগী পরিবারের সদস্যরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ওই গৃহে বসবাস করে আসছে।
সরেজমিনে গিয়ে কচুয়া উপজেলায় ৮নং কাদলা ইউনিয়নের মনপুরা গ্রামের উপকারভোগী ইউসুফ মিয়ার স্ত্রী পারভিন বেগমের সাথে কথা হয়। তিনি জানান, আমার স্বামী একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। তিনি কোনো কাজকর্ম করতে পারেন না। আমার দুটি সন্তান রয়েছে। এভাবে ঘর পেয়ে অনেক আনন্দিত হলাম। আমাদের আংশিক জমি থাকলেও গৃহ নির্মাণের সামর্থ্য ছিল না। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহতী উদ্যোগে ও স্থানীয় সাংসদ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি’র প্রচেষ্টায় আমরা মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছি।
কচুয়ায় 'যার জমি আছে ঘর নেই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ' প্রকল্পের আওতার দায়িত্বপ্রাপ্ত গৃহ নির্মাণ ঠিকাদার ইউপি সদস্য মো: খাজা মিয়া জানান, দায়িত্ব পাওয়ার পর কোনো প্রকার ত্রুটি না রেখেই প্রতিটি গৃহ নির্মাণের চেষ্টা করেছি।
ভিটি পাকা করণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার মো: বিল্লাল হোসেন জানান, প্রতিটি ঘর নিজের ঘরের মতো ভেবে আন্তরিকতার সাথে পাকা করেছি।
পালাখাল মডেল ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন সোহাগ জানান, আমার ইউনিয়নে ১৮টি ঘর পেয়েছি। যারা পাওয়ার উপযুক্ত এমন ব্যক্তিদের সনাক্ত করে ঘরগুলো দেয়া হয়েছে।
কচুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আশেকুর রহমান ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: মফিজ উদ্দিন মাসুদ বলেন,' অন্য যেকোনো প্রকল্পের চাইতে গরিবদের মাঝে গৃহ নির্মাণ বরাদ্দ সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে গরিব অসহায় পরিবারের লোকজন উপকৃত হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ বলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে কচুয়ায় ২১৬টি ঘর পেয়েছি। যা ইতিমধ্যে অধিকাংশ ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পথে। গত কয়েক দিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বেশ কটি ঘর সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। কচুয়ার জন্য পরবর্তীতে আরও ঘর বরাদ্দের জন্য তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা অনুযায়ীই পর্যায় ক্রমে সকলেই ঘর বরাদ্দ পাবেন।