ধর্ষণের শিকার হয়ে পুষ্প রাণী নামে এক বিধবা নারী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না ওই নারী।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার রায় গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই বিধবা নারী নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছে।
জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার রায় গ্রামের অনিল বিশ্বাসের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি পুষ্প রাণীকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। গত ২ বছর আগে অনিল বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। স্বামীর রেখে যাওয়া ভিটের ওপরে টিনের ঝুপড়ি ঘরে দুটি শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন পুষ্প রাণী। তিনি দিনমজুরের কাজ করেন।
পুষ্প রাণী জানান, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে প্রতিবেশী জাফর মোল্যার নির্মাণাধীন বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজে যান। বাড়ির কাজে তদারকির দায়িত্বে থাকা জাফর মোল্যার শ্যালক একই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক মীনার ছেলে ইমদাদুল মীনা তাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয় ইমদাদুল। ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি ওই নারী। কিন্তু এরই মধ্যে তিনি গর্ভবতী হন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
এদিকে অভিযুক্ত ইমদাদুল মীনার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাই তরিকুল মীনা জানান, ইমদাদুল মীনা গত ৭-৮ দিন আগে সৌদি আরব গেছে। এ কারণে অভিযুক্ত ইমদাদুল মীনার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, ওই নারীকে থানায় আনার জন্য স্থানীয় গ্রাম পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।