সকাল ১০টায় শায়েস্তাগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় বসলো শিরিনা আক্তার। ঘণ্টা খানের পরীক্ষা দেয়ার পর তার কাছে মায়ের মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছলো। পরীক্ষা কেন্দ্রে চিৎকার দিয়ে কাঁদতে না পারলেও ভেঙে পড়ে শিরিনা।
এ অবস্থাতেই পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা দেয় শিরিনা। এক হাতে কলম আর অন্য হাত দিয়ে চোখের জল মুছতে মুছতে পরীক্ষা সম্পন্ন করে সে। মাঝে মাঝে চোখের অশ্রুর ফোঁটা পরীক্ষায় খাতায় পড়ে ভিজেছে খাতাও।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়নের বিশাউড়া গ্রামের মো. আহাদ মিয়ার মেয়ে শিরিনা আক্তার। শায়েস্তাগঞ্জ মোজাহের উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী সে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে পরীক্ষা চলাকালে মায়ের মৃত্যুর সংবাদে ভেঙে পড়ে শিরিনা। বার বার নিজেকে হারিয়ে ফেললেও সহপাঠী ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় পরীক্ষা সম্পন্ন করেই কেন্দ্র থেকে বের হয় সে। এ ঘটনায় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।
খবর পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মুজিবুর রহমান পরীক্ষা কেন্দ্রে ছুটে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে সান্ত্বনা দেন। এ সময় আবেগ ঘন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে পরীক্ষা কক্ষে। সুন্দরভাবে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান শিক্ষা অফিসার।
ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার ডা. আবুল কালাম জানান, মায়ের লাশ বাড়িতে থাকলেও শিরিন আক্তার পরীক্ষা দিয়েছে। বিকেলে তার মা জাহানারার লাশ দাফন করা হবে।