নড়াইল সদরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু। রাজনৈতিক মহল থেকে চায়ের দোকানে চলছে এমনই প্রচারণা। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে ইতোমধ্যেই সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি জানায়। তবে অনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকদিন।
নড়াইলে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ বিষয়ে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৪ মার্চ। মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি, যাচাই-বাছাই ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং ৭ মার্চ প্রত্যাহারের দিন রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, নিজাম উদ্দিন খান নিলুর ছাত্রজীবনেই রাজনীতির হাতে খড়ি। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত জেলা যুবলীগের সভাপতি ও আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ২০১৫ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন।
১৯৯৯ সালে নড়াইল পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত সরকারের আমলে নির্বাচিত মেয়র নিজাম উদ্দিন খান নিলুর ওপর হামলা করা হয়। তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ২০ থেকে ২২টি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া পৌরসভা থেকে নিজাম উদ্দিন খান নিলুকে সরিয়ে দিয়ে তৎকালীন প্যানেল মেয়র বিএনপি নেতা খান মো. কবির হোসেন সেখানের দায়িত্ব পালন করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু জানান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে দুর্দিনে দলকে সংগঠিত করেছি। বিএনপি-জামায়াত বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে হামলা-মামলার শিকার হয়ে জেল খাটতে হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘নড়াইল সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন আমাকে দেয়া হলে সন্ত্রাস-দুর্নীতি-মাদক মুক্ত একটি মডেল উপজেলা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করব। পাশাপাশি শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাব।’
জেলা যুবলীগের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘দলের অবদানের কথা বিবেচনা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেবেন বলে আমি শতভাগ আশাবাদী। দলীয় মনোনয়ন পেলে আমি জয়ী হব। এ জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করি।’
উল্লেখ্য, নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১৪ জন। দলীয় মনোনয়নের জন্য ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন প্রার্থীরা। সকলেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।