পরকীয়ার টানে প্রেমিকের বাড়িতে ২ সন্তানের জননী

গাইবান্ধা, দেশের খবর

Shadrul Abedin | 2023-08-24 10:16:50

গাইবান্ধা সদর উপজেলার পরকীয়া প্রেমের টানে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছে দুই সন্তানের জননী। শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চলে রশি টানাটানি।

স্থানীয়রা জানান, ১৩ বছর আগে গাইবান্ধার সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের ভোলারবাজার এলাকার রাজমিস্ত্রী জুয়েল মিয়ার সঙ্গে রংপুরের মিঠাপুকুর এলাকার মমতা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের বড় মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ও ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। জুয়েল মিয়া কর্মের কারণে ঢাকায় অবস্থান করেন। এ সুযোগে প্রতিবেশী আউয়াল মিয়ার ছেলে ইদুল মিয়ার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন মমতা। এ ছাড়া স্বামীর অনুপস্থিতিতে মমতার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন ইদুল। ফলে মমতার গর্ভে সন্তান আসে। এ ঘটনায় ইদুল মিয়া মমতাকে হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাত ঘটায়। এরপর থেকে মমতাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে ইদুল।

এ নিয়ে দুই পরিবারে কলহ-বিবাদ চলতে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মমতা বেগমকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ইদুল মিয়া ও তার ছোট ভাই হত্যার চেষ্টা করে। এতে মমতা অসুস্থ্য হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে খোলাহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সামাদ আজাদ দেখতে যান।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান শেখ সামাদ আজাদ বলেন, ‘ দৈহিক সম্পর্কের কারণে ইদুল মিয়া মমতা বেগমকে জোরপূর্বক তিনবার গর্ভপাত ঘটায়। এখন হত্যার উদ্দেশ্যে ইদুল ও তার ছোট ভাই আলাল মমতাকে ঘুমের ঔষধ খাওয়ায় বলে সে আমাকে জানায়।’

এদিকে সুস্থ্য হয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে মমতা বেগম ইদুলের বাড়িতে গিয়ে ওঠে এবং তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইদুলের জ্যাঠা আলমসহ পরিবারের লোকজন মমতাকে মারধোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মমতা ইদুলের বাড়ির গেটের সামনে মাটিতে শুয়ে সুবিচার পাওয়ার আশায় অনশন করেন।

শুক্রবার বিকেলে মমতা বেগম বলেন, ‘ইদুল মিয়ার কারণে আমি স্বামী, সন্তান ত্যাগ করেছি। সে (ইদুল) যদি আমাকে বিয়ে না করে তা হলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

এ ব্যাপারে একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ইদুল মিয়া ও মমতা বেগমের এই ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইদুল পলাতক থাকার কারণে স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে মমতাকে তার বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে শালিশের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করা হতে পারে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর