সুন্দরবনে আগুন লাগার ঝুঁকি, বন বিভাগের প্রচারণা

বাগেরহাট, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বাগেরহাট, বার্তা২৪ | 2023-08-26 15:41:21

শুকনো মৌসুম আসলেই সুন্দনবনে আগুন লাগার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। শুষ্ক মৌসুমে সুন্দরবনের নদী-খালের পানি কম থাকা ও বনের অভ্যন্তরের খাল শুকিয়ে যাওয়ার ফলে এ ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। চলতি শুকনো মৌসুমে কোনোভাবে যেন সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনা না ঘটে সেজন্য বন সংলগ্ন লোকালয়ের জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও এ ধরণের ঝুঁকি এড়াতে প্রচারণা শুরু করেছে বনবিভাগ।

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ছুটির দিন হলেও পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় (বাগেরহাট) বন কর্মকর্তা মো: মাহমুদুল হাসান চাদপাই রেঞ্জের ধানসাগর ষ্টেশন, ধানসাগর ক্যাম্প, নাংলাী ও গুলিশাখালী টহল ফাঁড়ী এলাকা পরিদর্শন ও সেখানকার মানুষের মধ্যে আগুনের ঝুঁকি এড়াতে পৃথক কয়েকটি জনসচেতনামুলক সভা করেছেন। জুম্মার নামাজের আগ মুহূর্তে মসজিদের মাইকে তিনি সচেতনতামুলক পরামর্শও দেন।

এছাড়া বন সংলগ্ন বিভিন এলাকায় মাইকিং, পোস্টারিং, টাইগার টিমসহ স্বেচ্ছাসেবীদের দিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘বছরের তিন মাস মার্চ, এপ্রিল ও মে এই তিনমাসই হলো বনে আগুন লাগার একটি ঝুঁকিপূর্ণ সময়। পলি পড়ে বনের ভেতরের খাল শুকিয়ে যাওয়া ও শুকনো মৌসুমে গাছের ডাল ও লতাপাতা পড়ে বিশাল স্তুপ হয়। এ সময়েই মূলত জেলে-বাওয়ালীদের বিড়ি-সিগারেট কিংবা নৌকায় রান্নায় ব্যবহৃত আগুন হতে বনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সুতরাং বন নির্ভরশীল ও সংলগ্ন বাসিন্দারা যাতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকেন সেজন্য এই প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’

এ সময় তার সাথে ছিলেন চাদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো: শাহিন কবিরসহ বিভিন্ন ষ্টেশন, ক্যাম ও টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ প্রচারণার সফলতা এসেছে উল্লেখ করে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, ‘২০১৬ সালের ২৮ মার্চ ও ১৩ এপ্রিল বনের নাংলী এলাকায় দুই দফায় আগুন লাগে। তাতে প্রায় ৮ একর বনভূমির গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়। তারপর থেকে ওই এলাকায় সচেতনতামুলক কার্যক্রম পরিচালনা করায় ২০১৭ ও ২০১৮ সালে বনের কোথাও আগুন লাগার ঘটনা ঘটেনি। চলতি শুষ্ক মৌসুমেও যেন কোন ধরণের দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্যই বনবিভাগ তৎপর রয়েছে। ২০১৬ সাল ও এর আগের বছরগুলোতে প্রায়ই বনের কোন না কোন জায়গায় আগুন লাগাটা রেওয়াজই ছিল।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর