আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত তালিকায় ১০২ ইয়াবা কারবারি

কক্সবাজার, দেশের খবর

শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 18:37:01

কক্সবাজার থেকে: আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন কক্সবাজারের শীর্ষ ১০২ ইয়াবা কারবারি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজির উপস্থিতিতে শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তারা আত্মসমর্পণ করবেন।

আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ার সমন্বয়ক ও কক্সবাজার জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে আত্মসমর্পণ করতে যাওয়া ইয়াবা কারবারিদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

জানা যায়, শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কক্সবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।

এর আগে বিকালে পুলিশ জানিয়েছিল, আত্মসমর্পণে ১০০ জন মাদক ব্যবসায়ীর নাম চূড়ান্ত হয়েছে। সকালের মধ্যে যোগ হতে পারে আরো পাঁচ থেকে ১০ জন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আত্মসমর্পণের সময় এক লাখ ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র জমা দিতে যাচ্ছেন ইয়াবা কারবারিরা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা তালিকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ৭৩ জন। এদের মধ্যে ৩০ জন আত্মসমর্পণের জন্য পুলিশ হেফাজতে চলে এসেছেন। পাশাপাশি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সর্বশেষ করা তালিকায় মাদক ব্যবসায়ী এক হাজার ১৫১ জন। এদের মধ্য থেকে এসেছেন ৩১ জন।

আপাতত তালিকায় থাকা বাকিদের মধ্যে ১৫ জনের মতো রয়েছেন, যারা আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন। স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশায় তারা মালয়েশিয়া থেকে দেশে এসেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে যারা এসেছেন। এদের মধ্যে টেকনাফ ইউনিয়নের পরিষদ সদস্য নুরুল হুদার নামে সর্বোচ্চ ২০টি ইয়াবা ও অস্ত্রের মামলা রয়েছে।’

এদিকে কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির পরিবারের ১০ জন সদস্যও এই আত্মসমর্পণে অংশ নিচ্ছেন বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি জানান, সর্বশেষ আজকে (শুক্রবার) দুবাই থেকে পুলিশের সেফহোমে এসেছেন বদির ছোট ভাই শুক্কুর।

জেলা পুলিশ সূত্র বলছে, একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের চট্টগ্রাম অফিসের প্রতিবেদক এম এম আকরাম হোসেনের মধ্যস্থতায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন এই ইয়াবা কারবারীরা।

আত্মসমর্পণের তালিকায় থাকা ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ৫১ জন হলেন- টেকনাফের পশ্চিম লেদার নুরুল হুদা মেম্বার, নাজিরপাড়া গ্রামের এনামুল হক এনাম মেম্বার, সাবরাংয়ের মোয়াজ্জেম হোসেন, গোদারবিল গ্রামের আব্দুর রহমান, একই গ্রামের জিয়াউর রহমান, পশ্চিম লেদার নুরুল কবির, হিৃলা পশ্চিম শিকদারপাড়ার সৈয়দ আহমদ জয়তু, নাজিরপাড়ার আব্দুর রহমান, চৌধুরীপাড়ার শফিকুল ইসলাম, নাজিরপাড়ার সৈয়দ হোসেন, নাইটংপাড়ার মো. ইউনুছ, পুরাতন পল্লানপাড়ার শাহ আলম, সাবরাংয়ের জাফর আহম্মেদ, জাহাজপুরার নুরুল আলম, হিৃলা পশ্চিম শিকদারপাড়ার রশিদ আহমদ।

হিৃলা ফুলের ডেইলের রুস্তম আলী, জুমপাড়ার দুই নম্বার ওয়ার্ডেও শফিউল্লাহ, মন্তলিয়ার জুমপাদরার দুই নম্বার ওয়ার্ডেও সৈয়দ আলম, উত্তরলম্ভির দুই নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল করিম ওরফে করিম মাঝি, সদর ইউপির এক নম্বরনওয়ার্ডের রাজারছড়ার আব্দুল কুদ্দুস, জাহেলিয়াপাড়ার মো. সিরাজ, সাবরাংয়ের আব্দুল হামিদ, নাজিরপাড়ার মো. রফিক, নতুন পল্লানপাড়ার মো. সেলিম, নাইটংপাড়ার রহিম উল্লাহ, নাজিরপাড়ার হেলাল, চৌধুরীপাড়ার মো. আলম, হিৃলা পূর্ব পানখালীর নজরুল ইসলাম, তুলাতুলির নুরুল বছর ওরফে কালা ভাই, হাতিয়ারঘনার দিল মোহম্মাদ, হাতিয়াঘনার মো. হাছন, মুন্ডারডেইলের শাহেদ রহমান নিপু।

শিলবুনিয়াপাড়ার কামরুল হাসান রাসেল, ওয়ালিয়াহবাদের আমিনুর রহমান, মারুফ বিন খলিল, আলীখালির জামাল মেম্বার, উত্তর লেঙ্গুর বিলের দিদার মিয়া, মধ্যম জালিয়াপাড়ার মোজাম্মেল হক, মৌলভীপাড়ার একরাম হোসেন, ডেইলপাড়ার আব্দুল আমিন, উত্তরপাড়ার রেজাউল করিম মেম্বার, উত্তরআলী খালির শাহ আজম, শাবরাংয়ের আলমগীর ফয়সাল ওরফে লিটন। বাকীদের জানা এখনও সম্ভব হয়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর