পাবনার পৌর শহরের মুজাহিদ ক্লাব এলাকার অবস্থা ছিল যেন-তেন। বৃষ্টি মানেই ওই এলাকার মানুষের জন্য চরম ভোগান্তি। পানি জমে তলিয়ে যেত রাস্তাও। সড়কে দুর্ঘটনা ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে যাচ্ছে এলাকাবাসী।
২০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত এ রাস্তাটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতোমধ্যে শতকরা ৭৫ শতাংশ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, এলাকার মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের জুন মাসে নতুন করে পাবনার বাসটা র্মিনাল থেকে শহর হয়ে গাছপাড়া মোড় পর্যন্ত ৭ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ হাতে নেওয়া হয়।
গাছপাড়া থেকে রাধানগর মক্তব মোড় অংশের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। মুজাহিদ ক্লাব থেকে পাবনা বাসটা র্মিনাল পর্যন্ত কাজ চলছে।
পাবনা শহরের মুজাহিদ ক্লাব এলাকার বাসিন্দা জাহিদ হোসেন জামিম বলেন, ‘এই রাস্তাটি নতুন করে নির্মাণের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিলাম। অবশেষে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শেষের দিকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এত সুন্দর রাস্তা হয়েছে যা আমাদের কল্পনার বাইরে।’
পাবনা শহরের বালিয়াহালট গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ‘পাবনার সড়কে যে অভূত উন্নয়ন হয়েছে। তা অকল্পনীয়। তা ছাড়া কাজও খুব সুন্দর হয়েছে।’
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয়ের ছাত্র রাজিব হোসেন বলেন, ‘রাস্তা ভাঙাচোরার কারণে আগে মুজাহিদ ক্লাব এলাকা দিয়ে শহরে আসতে ভয় পেতাম। এখন সুন্দর এবং প্রায় ডবল রাস্তা তৈরি হচ্ছে।’
মহাসড়ক বাস্তবায়নকারী ধ্রুব কন্সট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পাবনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টির সভাপতি সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী বলেন, ‘এলাকার মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উন্নত এবং টেকসই মালামাল ব্যবহার করে এই রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজ প্রায় শেষের দিকে। সড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয়রা সড়কটির কাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই রাস্তার সুফল খুব শিগগির পাবনার মানুষ পাবে।’
পাবনা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সমিরন রায় বলেন, ‘শুধু বিটুমিনাস সারফেসিং নয়, এই সড়কের পাশে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে রাস্তাটিতে পানি জমে থাকবে না। রাস্তাটি টেকসই হবে।’