রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের পরিজাত এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমের এক শিশু শিক্ষার্থীকে ১০ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ঐ প্রতিষ্ঠানেরে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় উক্ত এতিমখানার ভাইস চেয়ারম্যান ও মধুপুর গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে মোঃ ফারুক আহম্মেদ বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বালিয়াকান্দি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এতিমখানার একাধিক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ও অভিযুক্ত শিক্ষককের গ্রেফতারের বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা।
ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম রবিউল ইসলাম (৩০)। তিনি নারুয়া ইউনিয়নের খালিয়া মধুপুর গ্রামের উমর আলীর ছেলে এবং একই গ্রামে অবস্থিত পরিজাত এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমের শিক্ষক।
মামলার বাদী মো: ফারুক আহম্মেদ বার্তা২৪.কমকে জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে এতিমখানার শিশু শিক্ষার্থীদেরকে অর্থের লোভ দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতেন। বিষয়টি একাধিক শিক্ষার্থী আমার কাছে অভিযোগ করলে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় মামলা দায়ের করেছি। সর্বশেষ অভিযুক্ত শিক্ষক চতুর্থ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ১০ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, ‘ঐ এতিমখানার ছাত্রীদের ক্লাস নেওয়ার সুবাদে চতুর্থ শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থীর (১০) সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে বিভিন্ন সময়ে ঐ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করতে থাকেন রবিউল।’
‘শুধু তাই নয় আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে সকলের অগোচরে ঐ শিক্ষক মেয়েটিকে এতিমখানার মেয়েদের গোসল খানায় নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করতেন। ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’
দীর্ঘদিন যাবত মেয়েটিকে ধর্ষণের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত রবিউল স্বীকার করেছেন বলে ওসি জানান।