ফলন ভালো হওয়ায় সবজি চাষে ঝুঁকছেন পটুয়াখালীর কৃষকরা। বিশেষ করে পটুয়াখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র সবজি চাষে সফলতা পাওয়ায় কৃষকরাও ঝুঁকছেন সেদিকে। এবছর সেখানে বিভিন্ন জাতের লাউ, সিম, কুমড়া ও বেগুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে এই এলাকায় সবজির ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি কৃষকরা আর্থসামাজিকভাবে লাভবান হবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ধান ও ডাল উৎপাদনে দক্ষিণ উপকূলের বেশ সুনাম আছে। তবে এই এলাকায় সবজি উৎপাদনে তেমন সফলতা পাওয়া যায়নি। কিন্তু সম্প্রতি এ অঞ্চলের কৃষকদের সবজি চাষে উৎসাহিত করতে পটুয়াখালীর লেবুখালীতে আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে গড়ে তোলা হয়েছে। এই গবেষণা কেন্দ্রে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি জাতের সবজি আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বারি লাউ-৩, বারি লাউ-৪, বারি কুমড়া-১, বারি বেগুন-৮, বিটি বেগুন-২, বিটি বেগুন-৩, বারি সিম-৬, বারি সিম-৭ এবং বারি সিম-১।
আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘এই গবেষণা কেন্দ্রে স্থানীয় জাতের লাউ, কুমড়া, সিম ও বেগুন আবাদ করে সফলতা পাওয়া গেছে। তবে এই এলাকার আবহাওয়ার সাথে খাপ খেতে পারে এবং ভালো ফলন পাওয়া যাবে এমন সবজির আবাদ নিয়েও আমরা কাজ করছি। যেসব সবজি চাষে সফলতা পাওয়া গেছে তা কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগ কাজ করছে। কৃষকদের নিয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মাঠ দিবসেরও আয়োজন করা হচ্ছে।’
লেবুখালী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোস্তাফিজুর রহমান তালকুদার বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘এই এলাকার কৃষকদের সবজি চাষে আরো উৎসাহিত করতে আমরা কাজ করছি। বিশেষ করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাতের সবজি আবাদে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলাসহ কৃষি কাজে নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে উপকূলীয় কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদের সাথে যুক্ত করতে কাজ করছে সরকার।’