উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ফিরে পেতে দায়ের করা আপিলে মনোনয়নের বৈধতা ফিরে পেয়েছেন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার স্বতন্ত্র প্রার্থী ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীন। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুলের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন তিনি।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শেষে ওই মনোনয়নের বৈধতা ঘোষণা করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ মামলার শুনানিকালে নথি উপস্থাপন করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত রাষ্ট্রীয় খরচে বুধবার পুনরায় মামলাটি উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীন পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু ভোটারদের স্বাক্ষর সংক্রান্ত জটিলতার কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন যাচাই-বাছাই কমিটি। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেও মনোনয়নের বৈধতা পাননি তিনি। ফলে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থেকে যান আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন বাবুল।
অবশেষে মনোনয়নের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে আপিল করেন শাহীন। পরে সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য তালিকায় আসে। কিন্তু মামলার নম্বর ভুল হওয়ায় ওই দিন শুনানি হয়নি। মঙ্গলবার যথারীতি কার্যতালিকায় মামলাটি ১৫ নম্বর আইটেম হিসেবে রাখা হয়। কিন্তু শুনানির সময় মামলার নথি উপস্থাপন করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত।
এ সময় আদালত সেকশন কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক ও রাশেদকে ডেকে এনে দুপুর ২টার মধ্যে মামলার নথি উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু নিদিষ্ট সময়েও নথি উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হলে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় খরচে পুনরায় ফাইল উপস্থাপনের নির্দেশ দেন আদালত। এতে শুনানি শেষে আপিলকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীনের দাখিল করা মনোনয়নটি বৈধ ঘোণা করা হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহীনের আইনজীবী মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে জানান, নানা নাটকীয়তা করেও বিরোধী পক্ষ সত্যকে গোপন করতে পারেনি। আদালত বাদীর মনোনয়নটি বৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীন জানান, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করেও সত্য ও ন্যায়কে গোপন রাখতে পারেনি তার প্রতিপক্ষ প্রার্থী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী রুহুল আমিন বাবুল। এ রায়ের মাধ্যমে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার সুযোগ পাবে।
তবে বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত বলেও দাবি করেন তিনি।