ফরিদপুরের কুমার নদ খননে মন্ত্রণালয়ের অসন্তোষ

ফরিদপুর, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ফরিদপুর, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 03:27:23

ফরিদপুরে কুমার নদ খনন প্রকল্পের অগ্রগতি দেখে অসন্তেুাষ প্রকাশ করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইউসুফ। নদের ১৩১ কিলোমিটার অংশ খননের জন্য ২৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজের উদ্বোধনের পর দেড় বছরে শেষ হয়েছে মাত্র ১৩ শতাংশ কাজ।

বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে অতিরিক্ত সচিব মো. ইউসুফ ওই প্রকল্প পরিদর্শনে যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ওহেদউদ্দিন চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলি আব্দুল হেকীম ও নির্বাহী প্রকৌশলি সুলতান মাহমুদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

দেড় বছরে মাত্র ১৩ শতাংশ কাজের অগ্রগতি দেখে হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। বলেন, এইভাবে কাজ চলতে থাকলে নির্ধারিত সময়ে কোনোভাবেই প্রকল্প শেষ করা যাবে না। সরকার দেশে চলমান উন্নয়ন কাজে অগ্রগতি ও মানের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিপিএমএ’র মাধ্যমে এই কাজ করতে গেলে শেষ করা যাবে না। তাই ওটিএম’র মাধ্যমে কাজটি করা যায় কি-না সেটি দেখা হচ্ছে।

সরকারে এই কর্মর্কতা প্রথমে যান ফরিদপুর শহরতলীর কানাইপুরের মৃগি এলাকায়। তারপর তিনি গঙ্গাবদ্দি হয়ে বাহিরদী ব্রীজ ঘুরে চলে যান শহরের টেপাখোলার মদনখালী স্লুইজ গেটে এলাকায়।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর শহরের টেপাখোলার মদরখালী পদ্মা নদী হতে উৎপত্তি হয়ে জেলা সদর, নগরকান্দা, সালথা, বোয়ালমারী এবং ভাঙ্গা উপজেলার মধ্যে দিয়ে ৭১ কিলোমিটার পরিভ্রমণ করে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা দিয়ে মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট নৌ-বন্দর হয়ে সেখানকার বিল রুটে পতিত হয়। কুমার নদের দৈর্ঘ্য ১৩১ কিলোমিটার।

বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর তত্ত্বাবধানে পানি উন্নয়ন বোর্ড এই প্রকল্পটি বাস্তাবায়নের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর প্রতিষ্ঠানের (ডকেয়া ডান ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্স লিমিটেড) মাধ্যমে খনন কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ফরিদপুরের সদর, নগরকান্দা, সালথা, বোয়ালমারী, ভাঙ্গা এবং পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার ৩০ হাজার ৫০০ হেক্টর কৃষি জমির সেচের আওতায় আসবে।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলি মো. সুলতান মাহমুদ জানান, প্রকল্পের আওতায় নদী খনন ও রেগুলেটর নির্মাণের মাধ্যমে শুষ্ক মৌসুমে নদীতে কমপক্ষে ছয় ফুট গভীরতায় পানি প্রবাহ রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এটি বাস্তাবায়িত হলে কৃষি ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত পানির সমস্যার সমাধান হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর