৬৬ বছরেও স্বীকৃতি পাননি ভাষা সংগ্রামী রতন

গোপালগঞ্জ, দেশের খবর

মাসুদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গোপালগঞ্জ, বার্তা২৪.কম | 2023-08-18 05:50:00

১৯৪২ সালে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে কারাভোগ এবং ১৯৪৮ সাল থেকে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন গোলাম মোস্তফা রতন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ২ শতাধিক ছাত্রদের নিয়ে ঢাকার রাজপথে মিছিল করে আহত হলেও তার ভাগ্যে জোটেনি ‘ভাষা সৈনিক’ হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি।

২০১২ সালে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাকে সম্মাননা দিলেও সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। গত ১৩ বছর ধরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের চররামরায়ের কান্দি গ্রামের নিজ বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন তিনি। তবে জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও যেন রতন স্যার কষ্টের ফসল দেখে যেতে পারেন এমনটাই দাবি মাদারীপুরবাসীর।

জানা যায়, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি গোলাম মোস্তফা রতন ২ শতাধিক ছাত্র নিয়ে আন্দোলনে অংশ নিতে গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢুকতেই কার্জন হলের সামনে পুলিশের গুলি শুরু হয়। এ সময় সালাম, বরকত, রফিকসহ অনেকে শহীদ হলেও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রাণে বাঁচেন রতন। এরপর পারিবারিক জীবন যুদ্ধ শুরু করেন। পরবর্তীতে শিবচরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। মুক্তিযুদ্ধে শিবচর অঞ্চলের অন্যতম সংগঠক ছিলেন ভাষা সংগ্রামী রতন।

এলাকাবাসী জানান, রতন স্যার সরাসরি ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু তাকে ভাষা সৈনিক হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এজন্য তারা খুবই দুঃখ প্রকাশ করেন। তারা চান গোলাম মোস্তফা রতন স্যারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাষা সৈনিক হিসেবে স্বীকৃতি এবং সর্বোচ্চভাবে সম্মানিত করা হোক।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গোলাম মোস্তফা রতন স্যারকে সবাই ভাষা সৈনিক হিসেবে চেনে। কিন্তু তাকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তিনি যদি তার প্রোফাইল আমাদের কাছে তৈরি করে দেন, তাহলে আমরা সরকারের কাছে তা বিবেচনার জন্য পাঠাবো। আমরা আশা করি, সামনে ভাষা সৈনিক হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাবেন তিনি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর