রাজধানীর চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে নিহত নোয়াখালীর সোনাইমুড়িসহ বিভিন্ন উপজেলার নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বজন হারানোর বেদনায় শোকে পাথর পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ও শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ১১ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
স্বজন ও স্থানীয়দের তথ্য মতে, অগ্নিকাণ্ডে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি, কোম্পানীগঞ্জ ও বেগমগঞ্জ উপজেলার নিহতদের মধ্যে মোট ১১ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে সোনাইমুড়ির নাটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষকামতা গ্রামের খাসের বাড়ির সাহেব আলীর দুই ছেলে মাসুদ রানা (৩৬) ও মাহাবুবুর রহমান রাজু (২৮), পশ্চিম নাটেশ্বর গ্রামের মিনহাজী বাড়ির মৃত ভুলু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী হোসেন (৬৫), নাটেশ্বর গ্রামের সৈয়দ আহমদের ছেলে হেলাল উদ্দিন, মির্জা নগর গ্রামের আবদুর রহিম বিএসসির ছেলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (৩৮), মমিন উল্যার ছেলে সাহাদাত হোসেন হিরা (৩২), মৃত গাউছ আলমের ছেলে নাছির উদ্দিন (৩২), মধ্য নাটেশ্বর ৪নং ওয়ার্ডের মোল্লা বাড়ির সিদ্দিকুল্লাহ ও পার্শ্ববর্তী বারোগা ইউনিয়নের দৈলতপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আনোয়ার। বেগমগঞ্জ উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামের কামাল হোসেন ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী গ্রামের জসিম উদ্দিন।
নিহতদের মধ্যে সকাল ৮টায় পূর্ব নাটেশ্বর গ্রামের হেলাল উদ্দিন, ৯টায় ঘোষকামতা গ্রামের মাসুদ রানা ও মাহাবুবুর রহমান রাজুর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টা বেগমগঞ্জের মুজাহেদপুরে কামাল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জের জসিম উদ্দিন ও ৩টার দিকে পশ্চিম নাটেরশ্বর গ্রামের মৃত ভুলু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী হোসেনেরও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া দিনের বিভিন্ন সময়ে বাকিদের জানাজা সম্পন্ন হবে।
এদিকে নিহতদের স্বজনরা জানান, ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে নোয়াখালীর অনেকের নিহত হওয়ার খবরে স্বজন ও এলাকাবাসী নিহতদের বাড়িতে সমাগম হলেও আসেননি জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কেউ। গণমাধ্যম কর্মীরাও কোনো তথ্য পায়নি প্রশাসনের কাছ থেকে।