নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের একাধিক মাদরাসা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না। আবার দেখা গেছে, উপজেলার অনেক মাদরাসা ভবনে পতাকা স্ট্যান্ড থাকলেও সেখানে ওড়ে না জাতীয় পতাকা।
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতি কার্যদিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম থাকলেও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মাদরাসা প্রতিষ্ঠানের চিত্র ভিন্ন। বরং উল্টো এই আইনের আদৌ কোন তোয়াক্কা করেন না বেশ কয়েকটি মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় এলাকাবাসীর এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান গুলো না হয় আইন ভেঙেছেন, কেউ আইন ভাঙ্গলে যাদের দেখার কথা তারা কি করছেন।
রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বিজয় নগর গ্রামের হোসাননিয়া নূরানী মাদরাসায় পতাকা স্ট্যান্ড থাকলেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় নি।
এ বিষয়ে হোসানিয়া নূরানি মাদ্রাসার সুপারিনটেন্ড মো. একরামুল হক জানান, জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কোন দিক নির্দেশনা দেওয়া নেই। ২০০৯ সালে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা আমাদের চিন্তা ভাবনায় আছে।
অপরদিকে, সকাল ১১টায় মাদরাসা চলাকালীন চরকাঁকড়া ২নং ওয়ার্ডের মারকাযুল হুদা আল আরাবিয়া মাদরাসায় গেলে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটিতে কোন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় নি।
মারকাযুল হুদা আল আরাবিয়া মাদ্রাসার সুপারিনটেন্ড জহিরুল ইসলাম জানান, ওয়াজ মাহফিলের ব্যস্ততা থাকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় নি।
সচেতন অভিভাবক মহল যে কোন মূল্যে কোম্পানীগঞ্জের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। কারণ লাল সবুজের পতাকা, বাঙালির চেতনা, সংস্কৃতি আর স্বপ্নের বুনন বলে তারা মনে করেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সল আহমেদ বলেন,' এ ব্যাপারে সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ওইসকল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।