রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে পদ্মা নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে পাঁচ শতাধিক যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিক। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নারী ও শিশুদের।
ফরিদপুরের আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের ওরস ফেরত যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ আর টানা দুই দিনের বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।
মাগুরা থেকে আসা যাত্রী সোহান রায়হান বলেন, মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ঘাটে বসে আছি। বিকাল সাড়ে ৫টায়ও ঘাট পার হতে পারিনি। গাড়ির দীর্ঘ যে লাইন রয়েছে, তাতে আরো ২/৩ ঘণ্টা বসে থাকার পরও ঘাট পার হতে পারব কি-না, বুঝতে পারছি না।
খুলনা থেকে ঢাকাগামী সোহাগ পরিবহনের সুপারভাইজার মঙ্গলবার বিকালে বলেন, ঘাটে দুই ঘণ্টা ধরে যাত্রী নিয়ে বসে আছি। এখনও নদী পার হতে পারিনি। যাত্রীরা চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছেন। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা বেশি ভোগান্তিতে আছে। পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে, তা কেউই বলতে পারছে না।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের বিআইডব্লিউটিসি’র বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বার্তা২৪.কমকে জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। এসব ফেরি দিয়েই যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফরিদপুরের আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের ওরস ফেরত যানবাহনের চাপ ও গত দুই দিনের টানা বৃষ্টির কারণে ফেরিঘাটের পল্টুন সরে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া, বৃষ্টিতে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় যানবাহনগুলো ফেরিতে উঠতে সময় লাগছে। লোড-আনলোডেও সময় বেশি লাগায় পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি, যাতে নদী পার হতে যাত্রীদের কোনো ধরনের বিড়ম্বনা না হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ জানায়, নদী পারের অপেক্ষায় থাকা বাসগুলোর যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে।