মাঝারি বৃষ্টিপাতে বগুড়ার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিপাতের কারণে মানুষ-জন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। একান্ত প্রয়োজনের তাগিদে যারা বের হচ্ছেন, তাদেরকে পড়তে হচ্ছে দুর্ভোগে।
বৃষ্টিপাতের কারণে শহরে রিক্সাসহ অন্যান্য যানবাহনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা। বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত কখনো একটানা আবার কখনো থেমে থেমে অঝোর ধারা ঝরছে।
অসময়ের এই বৃষ্টিপাত ফসলের জন্য উপকারী হলেও খেটে খাওয়া দিনমজুর ছাড়াও ছিন্নমূল শ্রেণীর মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি হিমেল হাওয়ায় মাঘের শীত জানান দিচ্ছে।
বুধবার সকাল থেকেই বগুড়া ও তার আশ পাশের এলাকায় মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করছিল। সকাল ১০টার দিক থেকে শুরু হয় বৃষ্টিপাত। এরপর আর থেমে নেই, কখনো টানা আবার কখনো থেমে থেমে চলছে বৃষ্টিপাত। সেই সাথে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাত।
আবহাওয়া অফিস বলছে, বায়ুমণ্ডলে নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়া আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ আলম মণ্ডল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বুধবার বেলা তিনটা পর্যন্ত ১০ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।’
এদিকে বগুড়া সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অসময়ের এই বৃষ্টিতে ফসলের উপকার হবে। বাতাসে নাইট্রোজেন থাকায় বোরো ধানের ইউরিয়া সারের পরিমাণ কম লাগবে। এছাড়াও যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে তাতে আগামী এক সপ্তাহ বোরো ধানের সেচ দিতে হবে না। তবে ভারী ও অতিবর্ষণ হলে আলু-পিয়াজ ছাড়াও কন্দাল জাতীয় ফসলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।’