বগুড়ায় দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপির সাত নেতা। এ কারণে বিএনপির ওই ৭ নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে দলটি। ইতোমধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বিএনপি নেতাদের নামের তালিকা তৈরি করেছে জেলা বিএনপি।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এই তালিকা দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠানো হবে বলে বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন।
অপরদিকে আওয়ামী লীগ থেকে পাঁচজন বিদ্রোহী প্রার্থী নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
এছাড়া তিনটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী না থাকায় তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করতে যাচ্ছেন রিটার্নিং অফিসার।
এদিকে বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ওই দিন পাঁচ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চার বিএনপি নেতাসহ আটজন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ফলে নয় উপজেলায় ৩৯ জনকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিএনপি নেতাদের মধ্যে বগুড়া সদরে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, নন্দীগ্রামে অ্যাডভোকেট এ রাফি পান্না, আলেকজান্ডার ও মাহফুজুর রহমান, সারিয়াকান্দিতে বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান হিরু মণ্ডল, অ্যাডভোকেট নূরে আযম বাবু, গাবতলীতে একিউএম ডিফেন্স সুমন ও এহসানুল বাশার, শিবগঞ্জে বিউটি বেগম, ধুনটে আকতার আলম সেলিম ও শাজাহানপুরে আবুল বাশার।
প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী না থাকায় যে তিনটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীতরা নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন তারা হলেন- শেরপুর উপজেলায় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু, আদমদীঘিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম খান রাজু এবং সোনাতলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিনহাদুজ্জামান লিটন।
এদিকে নন্দীগ্রাম উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল আশরাফ জিন্নার বিরুদ্ধে একই দলের আজিজার রহমান, কাহালুতে আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে মোশফেকুর রহমান কাজল ও আল হাসিবুল হাসান সুরুজ, ধুনটে আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুল হাই খোকনের বিরুদ্ধে মাসুদুল হক বাচ্চু, দুপচাঁচিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান খান সেলিমের বিরুদ্ধে একই দলের ফজলুল হক, সারিয়াকান্দিতে দলীয় মনোনীত প্রার্থী মুনজিল আলী সরকারের বিরুদ্ধে একই দলের শাজাহান আলী ও আব্দুস সামাদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক টি-জামান নিকেতা বার্তা২৪.কমকে জানান, বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তাদের তালিকা পাঠানো হবে। সেখানেই তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।