জনবল সংকটে চিকিৎসা বঞ্চিত মুকসুদপুরবাসী

গোপালগঞ্জ, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গোপালগঞ্জ, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 01:01:42

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটের কারণে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকাবাসী। বাইরে থেকে ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞদের বদলি করে আনা হলেও তারা বেশিক্ষণ সময় দিতে পারেন না। ফলে অধিকাংশ সময় রোগীরা ডাক্তারের দেখা পান না। এছাড়াও হাসপাতালটি ৫০ শয্যার হলেও রোগীরা ৩১ শয্যার সেবা পান।

এদিকে, জনবল সংকটের কারণে অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ, স্বল্পমূল্যে পায়খানা-প্রস্রাব ও রক্ত পরীক্ষা সেবা। এক বিভাগের কর্মী দিয়ে অন্য বিভাগ চালাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৭ জুন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর হাসপাতালে ৫০ শয্যা সেবা চালু করা হয়। এরপর থেকে জনবল বাড়ানো হয়নি। তবে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে আরও ৫০ শয্যার নতুন ভবন। ফলে হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত হচ্ছে।

সেবা প্রত্যাশী রোগীরা জানান, অর্থাভাবে সরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে আসেন তারা। কিন্তু রক্ত, ইসিজিসহ বিভিন্ন পরীক্ষা বাইরে থেকে করাতে হচ্ছে। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়া যাচ্ছে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার হলেও ৩১ শয্যার জনবল রয়েছে। এখানে ডাক্তার, অফিস কর্মচারী, টেকনিশিয়ান থেকে সুইপার, নাইট গার্ড পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫টি ধাপে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। একটি-দুটি ছাড়া প্রতিটি ধাপেই জনবল সংকট রয়েছে। ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার নামে কোনো পদ না থাকলেও সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য রোস্টার করে একজন এমবিবিএস ও জুনিয়র কনসালটেন্ট এবং উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জন্য ১৭ জন মেডিকেল অফিসারের বিপরীতে আছে ৪ জন, ল্যাব ও প্যাথলজি বিভাগে সব পদ শূন্য, ইসিজি ও আল্ট্রাসোনোগ্রাম বিভাগে কোনো টেকনিশিয়ান নেই, ওয়ার্ড বয়ের ৪টি পদই শূন্য, এলএমএসএস ৬ জনের বিপরীতে আছে ৪ জন, বাবুর্চি ২ জনের বিপরীতে একজন এবং সুইপার ৬ জনের বিপরীতে আছে ৩ জন।'

তিনি বলেন, 'ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবার পৌঁছে দিতে জনবল বাড়ানো হবে। জনবল বাড়াতে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হবে।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর