যক্ষ্মা রোগে ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্বের শীর্ষ ২২ দেশের মধ্যে ষষ্ঠ অবস্থানে বাংলাদেশ। বছরে সারাদেশে প্রতি ১ লাখে প্রাণ হারাচ্ছে ২২১ জন রোগী। সচেতনতার অভাবে প্রতি বছর শনাক্তের বাইরেই থেকে যাচ্ছে প্রায় ৯৪ হাজার আক্রান্ত লোক।
ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় বাংলাদেশের মধ্যে সিলেট বিভাগ রয়েছে প্রথম স্থানে। তবে এই রোগের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের হলরুমে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির (নাটাব) আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
নাটাব আরও জানায়, সিলেট বিভগের মধ্যে হবিগঞ্জ জেলা যক্ষ্মা রোগে আক্রান্তের দিক থেকে ২য়। এর মধ্যে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন চা শ্রমিক জনগোষ্ঠি। হীড বাংলাদেশের আনুমানিক তথ্য অনুযায়ী হবিগঞ্জে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা। ২০১৩ সনে এই জেলায় সনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ৭৩৪ জন। যা ২০১৮ সনে এসে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৯ জনে।
সভায় বক্তারা বলেন, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি সারাদেশে ২২টি এনজিও কাজ করে যাচ্ছে। বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। তবে ওষুধের সম্পূর্ণ কোর্স গ্রহণ না করায় অনেক রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন না। যেহেতু এই রোগ বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়, তাই সম্পূর্ণরুপে যক্ষ্মামুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। তবে এর বিরুদ্ধে সঠিকভাবে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। তাই সকলকে এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে।
নাটাব’র জেলা কমিটির সভাপতি ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান উজ্জ্বল।
নাটাব হবিগঞ্জের ফিল্ড সুপারভাইজার সুমন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- নাটাব জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল হাসান শরীফ, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন, হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. দেবাশীষ দাশ, হীড বাংলাদেশের প্রতিনিধি মোশাররফুল হক প্রমুখ।