ঢাকার নবাবগঞ্জ পাড়াগ্রাম, মাশাইল ভায়া দৌলতপুর আঞ্চলিক সড়কটিতে চলমান উন্নয়ন কাজে ধীরগতির কারণে সড়কটির ভাওয়ালিয়া ও দৌলতপুর অংশে পানি জমে চলাচললের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
চলতি মৌসুমে সামান্য বৃষ্টির ফলে বাড়ছে প্রতিনিয়ত জনভোগান্তি। পথযাত্রীদের অভিযোগ, সড়কটির পুরো অংশজুড়ে এক সাথে সংস্কার কাজ শুরু হলেও সম্পূর্ণ হয়নি এক কিলোমিটারও। ফলে এ সড়কে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে।
এলাকাবাসীর দাবি, উপজেলার বৃহত্তম ইউনিয়ন শোল্লা, কৈলাইল ও যন্ত্রাইলের বাসিন্দাদের উপজেলা সদরসহ রাজধানী ঢাকায় যাতায়াতের এই একটি মাত্র সড়ক।
কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের উন্নয়ন কাজ মের্সাস ডলি কনস্ট্রাকশনের হাতধরে গত নভেম্বর মাসে শুরু হলেও এখনো চলাচলের উপযোগী করে তুলতে পারেনি। যার ফলে কৃষিভিত্তিক এই অঞ্চলের কৃষক থেকে শুরু করে ছাত্র, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।
শোল্লা ইউপির বাসিন্দা রিকসা চালক কুদ্দুস বলেন, ‘সড়কের উন্নয়ন কাজ আমরা চাই, কিন্তু উন্নয়নের নামে যদি দীর্ঘ সময় ধরে সড়ক খনন করে রেখে দেওয়া হয়, তাহলে আমাদের কী হবে? এভাবে চলে আমাদের রোজগার কমে যাচ্ছে।’
কৈলাইলের কলেজছাত্র কামরুল হাসান বলেন, ‘সড়ক খুঁড়ে ইট, খোয়া ফেলে উন্নয়ন কাজ চলায় সড়ক প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম।’
একই ইউনিয়নের দড়িকান্দা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আওয়াল গাজী বলেন, ‘এই অবস্থা আর কতো দিন থাকবে জানি না। এমনিতেই সড়কের এই অবস্থা, তার ওপর বর্ষা এসে পড়লে চরম বিপদে পড়তে হবে। তখন এটা হবে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো।’
যন্ত্রাইলের কৃষকলীগ নেতা শেখ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘রাস্তার এ অবস্থার জন্য একটা রিকশাও আসতে চায় না। ফলে বাধ্য হয়ে হেঁটেই আসতে হয়।’
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মের্সাস ডলি কনস্ট্রাকশনের প্রোপাইটার মো. নাসির উদ্দিনের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. সুমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা সময় মতো কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। আশা করি যথাসময়ে কাজ শেষ করতে পারবো।’
নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলী (এল.জিডি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ধীরগতিতে কাজ হলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বলা হবে। নিয়িমিত কাজের তদারকি করছি। সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হলে প্রাথমিক অবস্থায় একটু সমস্যা হতে পারে। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।‘