ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যে মার্চ-এপ্রিল মাসে মেঘনা নদীতে সবধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ নিষেধাজ্ঞা লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনলের ১০০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত জারি করা হয়েছে।
এলাকাটি ইলিশের অভয়াশ্রম হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে আগামি ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার সময় নির্ধারিত ওই এলাকায় মাছ শিকার, মজুদ ও বিপণন করা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে জেল, জরিমানা ও উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। আইন মেনে মেঘনায় মাছ শিকার থেকে বিরত রাখতে জেলেদের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
অন্যদিকে লক্ষ্মীপুরে প্রায় ৬২ হাজার জেলে রয়েছে। এরমধ্যে সরকারি খাদ্য সহায়তা পায় ২৫ হাজার ২৪৭জন জেলে। যার কারণে অনেকেই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি থাকা শর্তেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারে যান। তবে ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে দুই মাস জেলেরা নদীতে যাবেন না বলে জানিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে সরকারের কাছে খাদ্য ও পুনর্বাসন সহায়তার দাবি জানিয়েছেন তারা।
জেলা মৎস্য অধিদফতর জানায়, মার্চ-এপ্রিল মাসে মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে সরকার। জাটকা সংরক্ষণের লক্ষ্যে এ সময় মেঘনায় ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়। এ সময় জেলেদেরকে মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে জেলেদের নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক সভা ও সেমিনার করা হচ্ছে।
কয়েকজন জেলে জানান, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে পর্যাপ্ত খাদ্য সহযোগীতা পান না তারা। এতে করে পরিবার পরিজন নিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাদের। তাই বাধ্য হয়েই অনেক সময় ঝুঁকি নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার কথা জানান তারা।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্লাহ বলেন, ‘মার্চ-এপ্রিল মাসে মাছ ধরা থেকে জেলেদের বিরত রাখতে নদীতে কোস্টগার্ড, মৎস্য বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। এই আইন অমান্যকারীদের জেল, জরিমানা ও উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।’