লোহালিয়া নদীর তীরে গড়ে উঠেছে পটুয়াখালী শহর। তবে নানা জটিল সমীকরণে এই নদী এখন তার অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। নদীর দুই তীর যেমন পলি পড়ে ভরাট হয়েছে, তেমনি নদীর সঙ্গে সংযোগ থাকা বিভিন্ন খালে বাঁধ দেয়া কিংবা স্লুইস গেট নির্মাণ করায় এর গতিপথ বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে।
ফলে এখন এমন এক অবস্থার মুখোমুখি হয়েছে যে লোহালিয়ার বুকে খাল খনন করে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। জোয়ারের সময় লোহালিয়া নদীতে পানি থাকলেও ভাটায় এই খাল ব্যবহার করে খেয়া পার হতে হয়।
জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে সদর উপজেলার লোহালিয়া ও কমলাপুর ইউনিয়নে যাতায়াত করতে ওই খেয়ায় পার হতে হয়। এছাড়া ওই পথে সহজেই বাউফল, গলাচিপা, দশমিনা ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় যাতায়াত করে হাজারো মানুষ। এ কারণে লোহালিয়া খেয়াঘাট সব সময় গুরুত্ব বহন করে। তবে বিগত কয়েক বছর যাবৎ এই খেয়া পারাপারে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এর অন্যতম কারণ হচ্ছে শুষ্ক মৌসুমে লোহালিয়া নদীতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। এর ফলে হাঁটু পানিতে নেমে ও কাদা পেরিয়ে খেয়ায় ওঠানামা করতে হয়। তবে এ বছর এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করায় নদীর মধ্যে একটি ছোট খাল খনন করেছে খেয়াঘাট সংশ্লিষ্টরা। এতে সাময়িক সমাধান মিললেও লোহালিয়া নদী রক্ষায় তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই বললেই চলে।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার চেয়ারম্যান অ্যাড. তারিকুজ্জামান মনি জানান, লোহালিয়া নদী হচ্ছে পটুয়াখালী শহরের প্রাণ। এই নদীকে রক্ষার জন্য একটি উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। এছাড়া লোহালিয়ায় খেয়া পারাপারে ভোগান্তি কমাতে টেকসই ড্রেজিং করা প্রয়োজন।