অবাধে জাটকা ধরছেন বরগুনার জেলেরা

বরগুনা, দেশের খবর

ইমরান হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বরগুনা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 13:34:26

নদী ও সাগরের মোহনায় উপকূলের জেলেরা অবাধে জাটকা শিকার করছেন। নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত এই আট মাস নদী ও মোহনায় উদ্ভিদ কণা খেতে আসে জাটকা মাছ। তাই এ সময়টাতে জাটকা শিকার বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা না মেনে উপকূলের জেলেরা জাটকা শিকার করছেন নির্বিচারে।

বরগুনার বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর মোহনায় গিয়ে দেখা যায়, সেসব এলাকায় জাটকা ধরছে চার শতাধিক ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকা। এর মধ্যে একটি নৌকার জেলে, সাহিদুল ইসলাম, রাসেল ফরাজী, খোকন শিকদার ও ছগীর মাঝির সাথে কথা হয় বার্তা২৪ -এর। তারা দাবি করেন, অক্টোবর মাসে ২২ দিনের মা ইলিশ সংরক্ষণ অবরোধে নদী ও সাগরে জাল ফেলেননি তারা। এরপরই ১ নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত ফের জাটকা ধরার নিষেধাজ্ঞা দিলে তারা জাটকা ধরেননি। আশায় ছিলেন সরকারি সহায়তার। তবে অবরোধের চার মাস পার হলেও এখনও সহায়তা পাননি তারা। তাই পেটের তাগিদে জাটকা ধরতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

বিষখালী নদীর মোহনায় জাটকা ধরা অবস্থায় আরও কয়েকজন জেলের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছর এই আট মাসের অবরোধে দুই বার ৪০ কেজি করে মোট ৮০ কেজি চাল দিয়ে সহায়তা করে সরকার। তবে অবরোধের চার মাস পার হলেও এখনও সহায়তা পাননি তারা।

সাগরের উপর নির্ভরশীল জেলে সেকান্দার মাঝি, জালাল মাঝিসহ আরও কয়েকজন জেলে বার্তা২৪.কমকে বলেন, একদিন মাছ না ধরলে না খেয়ে থাকতে হয় তাদের। বন্ধ হয়ে যায় বাচ্চাদের লেখাপড়া। সরকার যদি সহায়তা না করে, তবে জাটকা ধরা বন্ধ করবে না কেউ।

এ বিষয়ে ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধূরি বার্তা২৪.কমকে বলেন, নদী ও সাগর মোহনায় জাটকা শিকার বন্ধ না করলে ইলিশশূন্য হয়ে পড়বে সাগর। আর লোকসানের মুখে পরবে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা জেলেরা।

এ বিষয়ে মৎস্য অধিদফতর কথা বলতে রাজি হয়নি। বরগুনা জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, তালিকা তৈরি করা হচ্ছে জেলেদের। ‍দুই সপ্তাহের মধ্যে সহায়তার চাল বিতরণ করা হবে। জাটকা ধরা বন্ধের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

উল্লেখ্য, বরগুনায় প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ জেলে পেশায় জড়িত। এর মধ্যে নদী ও সাগর মোহনায় জাটকা শিকার করছেন প্রায় ৩০ হাজার জেলে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর