প্রেম নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে নোয়াখালীর মেহেরাজকে (১৯) তুলে নিয়ে কোমল পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক ট্যাবলেট খাইয়ে তিন বন্ধু মিলে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেন। পরে তার লাশ বস্তাবন্দী করে লক্ষ্মীপুরের একটি খালে ফেলে দেন তারা।
মেহেরাজকে হত্যার ঘটনার মামলায় আটক আবদুল্লাহ আল মামুন বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) রাতে নোয়াখালী জেলার সুধারাম এলাকা থেকে মামুনকে আটক করা হয়। এ সময় তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যার সময় ব্যবহৃত হওয়া মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়।
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, মেহেরাজ, তানভীর ও মামুন নোয়াখালীর সুধারাম এলাকার বাসিন্দা। তারা তিনজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। স্থানীয় এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম নিয়ে তানভীর ও মেহেরাজের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে তানভীর তাকে (মেহেরাজ) হত্যার পরিকল্পনা করে। এ কথা তিনি তার (তানভীর) বন্ধু মামুন ও রাশেদকে জানায়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মোটরসাইকেলযোগে মেহেরাজকে নিয়ে মুন্সি তালক গ্রামের দিকে যায়। সন্ধ্যা হলে মেহেরাজকে তারা কোমল পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক ট্যাবলেট মিশিয়ে খাইয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মেহরাজ অচেতন হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে পরনের বেল্ট খুলে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়। পরে তাকে প্লাস্টিকের বস্তায় বন্দী করে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের টক্কার পুল থেকে খালে ফেলে দেন তার বন্ধুরা।
পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি পানিতে ভেসে উঠলে ওই স্থান থেকে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ বস্তাবন্দী লাশটি উদ্ধার করে।
লক্ষ্মীপুর সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রেমের দ্বন্দ্বের কারণে তিন বন্ধু মিলে পরিকল্পিতভাবে মেহেরাজকে হত্যা করে। হত্যার ঘটনায় জড়িত আসামি মামুন লক্ষ্মীপুর আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এর সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’