৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। দিবসটিকে ঘিরে সরকারি-বেসরকারি নানা কর্মসূচি থাকলেও বেশিরভাগ শ্রমজীবি নারীরাই জানে না তাদের এই দিবসটির তাৎপর্য।
কথা হয় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সদরে প্রতিষ্ঠিত ‘মা হোটেল ও রেস্টুরেন্ট’ এর কাজে নিয়োজিত নারী শ্রমিকদের সাথে। জীবনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে টিকে আছেন তারা। অভাব-অনটনের মধ্যে দিয়ে দিন যাপন করছেন। মজুরিতে হতে হচ্ছে বৈষ্যমের শিকার। মৌলিক চাহিদাটুকুও তারা পূরণ করতে পারছেন না। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্দ্ধগতির কারণে আজ তারা দিশেহারা।
নারী শ্রমিক মর্জিনা ও সালমা দুঃখ প্রকাশ করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, আজ কিসের নারী দিবস? কী হয় এ দিবসে? আমাদের মতো গরীবের আবার দিবস। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা কাজ না করলে পরনে কাপড় জোটে না, পেটে ভাত যায় না।
তারা আরও বলেন, আমরা ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কাজ করি। তারপরও আবার মজুরি কম। একজন পুরুষ শ্রমিক কাজ করলে পায় ৫০০ টাকা আর আমরা পাই ২০০ টাকা। যা মজুরি পাই তা দিয়ে কি হয়। এতে খাবার যোগাড় করব না ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া শিখাবো। কোনটাই আমরা ঠিক মতো করতে পারি না।
আরেক শ্রমজীবি নারী নার্গিস বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা যেভাবে বেঁচে আছি, তাতে আমাদের মরে যাওয়াই ভাল। সারাদিন হোটেলে কাজ করতে হয় আর রাতে গিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পোলাপানদের নিয়ে রাত কাটাতে হয়। পরিবারের কারও অসুখ হলে ঠিকমতো চিকিৎসাও করাতে পারি না।’
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘নারী বলে অনেকেই নানা ধরনের কটূক্তি করে থাকে। পুরুষের সমান কাজ করেও পারিশ্রমিক পাই তাদের অর্ধেক। তাই নারী দিবস-টিবস আমরা বুঝিনা।’