জাতীয় সংসদে কওমি মাদরাসা নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ধর্মপ্রাণ মানুষ। মিছিল থেকে তারা বিচারের দাবি করা হয়।
শুক্রবার (৮ মার্চ) জুমার নামাজের পর গওহরডাঙ্গা মাদরাসার উদ্যোগে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘কওমি মাদরাসা আদর্শ মানুষ গড়ার কারিগর, রাষ্ট্রীয় কোনো ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া সাধারণ জনগণের সহযোগিতায় আদর্শবান নাগরিক গঠন করে যাচ্ছে। কওমি মাদরাসা সনদের সরকারি স্বীকৃতির আইন মন্ত্রিপরিষদ এবং জাতীয় সংসদে পাস করা বর্তমান সরকারের প্রশংসনীয় কাজ। এমতাবস্থায় ৩ মার্চ দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্রপ্রহরী এসব প্রতিষ্ঠানকে দেশের জন্য বিষবৃক্ষ বলে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন মেনন। যাতে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ক্ষুব্ধ হয়েছে। এজন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তাকে জাতীয় সংসদ থেকে বহিষ্কার করতে হবে।’
বক্তারা বলেন, ‘দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে তাদের জীবনের থেকেও শেষ নবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) বেশি শ্রদ্ধা ও সম্মানর করে। তাকে শেষ নবী অস্বীকারকারী কাদিয়ানিদের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে মেনন জাতীয় সংসদের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন এবং দেশে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চান।’
বক্তারা মেননের বিচারের জোর দাবি জনান। অন্যথায় যেকোনো পরিস্থিতির দায় সরকারকে বহন করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
মুফতি উসামা আমিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মাওলানা ফরিদ আহমাদ, মাওলানা বশির আহমাদ, মুফতি মোস্তফা কাসেম, মুফতি আবদুল হাই, মাওলানা যোবায়ের আহমাদ, মুফতি শরিফুল ইসলাম, মুফতি মুহাম্মদ তাসনিম, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা ইমরান হোসাইন ও মুফতি জাফরুল হাসানসহ প্রমুখ।