তিন লাখ টাকার অভাবে সাংবাদিক ও শিক্ষক আবু তাহের মিসবাহ'র চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে তিনি সাপ্তাহিক সোনার বাংলা, দৈনিক চাঁদপুর দিগন্ত ও সাপ্তাহিক মানবসমাজ পত্রিকায় কাজ করতেন।
সাংবাদিক আবু তাহের মিসবাহ হৃদরোগ জনিত সমস্যায় ভুগছেন। তার হার্টে দুটি রিং বসাতে হবে। পারিবারিকভাবে অসচ্ছল এই সাংবাদিকের পক্ষে ব্যয় বহুল এ চিকিৎসার অর্থ যোগান দেয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। তিন লাখ টাকার যোগান দিতে না পারায় তিনি বৃহস্পতিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহের মিসবাহ। মঙ্গলবার সকালে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে রেফার করে ডাক্তাররা।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক সাংবাদিক আবু তাহের মিসবাহকে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে দ্রুত ভর্তি হবার পরামর্শ দেন। কিন্তু টাকার যোগান না থাকায় এখন বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ধুঁকছেন এ সাংবাদিক।
সাংবাদিক আবু তাহের মিসবাহ হাজীগঞ্জ পৌরসভার আল কাউসার স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক। এর পাশাপাশি তিনি স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তার স্ত্রী ও পাঁচ কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড বিলওয়াই হাজী বাড়ির বাসিন্দা।
সাংবাদিক আবু তাহের মিসবাহ বলেন, 'টাকা না থাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে না গিয়ে আমি বাসায় ফিরেছি। আমার সংসারে অভিভাবক আমি। আমাকে বাঁচতে হবে। আমার পাঁচ মেয়ে। তাদের জন্য আমাকে বাঁচতে হবে। সবার সহযোগিতা পেলে যতদ্রুত সম্ভব জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে গিয়ে ভর্তি হতে পারব।'