ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি একমাত্র অ্যাম্বুলেন্স চালকের পদটি প্রায় ছয় মাস ধরে শূন্য। চালক না থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ঢাকায় আনতে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের।
জানা গেছে, দীর্ঘ সময় ধরে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আগের অ্যাম্বুলেন্সটি অকেজো হয়ে পড়ে ছিল। পরে ২০১৬ সালে নতুন একটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়। কিন্তু গত ছয় মাস আগে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালকের পদটি শুন্য হয়ে যায়। ফলে দরিদ্র রোগীরা পরিবহন ও জরুরি স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সিংগাইর উপজেলার চান্দহর থেকে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু ইয়াসিনের (৩) বাবা আব্দুল আলিম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘চিকিৎসক ছেলেকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক না থাকায় বাইরে থেকে অতিরিক্ত টাকায় অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে হয়েছে। যা আমার জন্য খুবই কষ্টকর ও ব্যবহুল।’
নবাবগঞ্জের শোল্লা খতিয়া এলাকার তানিয়া আক্তার বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘আমার স্বামীকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এখানে অ্যাম্বুলেন্স চালক নেই। আবার এই মুহূর্তে আমার হাতে টাকাও নেই। ফলে এখন কী করবো- সেটা বুঝতে পারছি না।’
উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহিদ হায়দার উজ্জল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণমুখী স্বাস্থ্য নীতির কল্যাণে ২০১৬ নবাবগঞ্জবাসী একটি নতুন সরকারি অ্যাম্বুলেন্স উপহার পায়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদাসীনতায় চালক পদটি শুন্য হয়ে গেছে, যা খুবই দুঃখজনক। কারণ সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।’
এ সময় তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত শূন্য পদটি পূরণের আহ্বান জানান।
নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. শহীদুল ইসলাম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘এখানে সবসময় রোগীর চাপ থাকে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।’