আমির হোসেনের (৫৯) বাড়ি লক্ষ্মীপুরে, কিন্তু ব্যবসা করেন বান্দরবান জেলা শহরে। বড় ভাই নুরুল আমিনের দেখাদেখি ৫ বছর আগে তিনি বান্দরবানে আসেন। শুরু করেন চায়ের দোকানের ব্যবসা।
শনিবার (৯ মার্চ) রাতে বান্দরবানে দোকানে বসে চা খেতে খেতে কথা হয় আমির হোসেনের সঙ্গে।
আমির হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘লক্ষ্মীপুরের (এলাকার) মানুষ দেখলেই ভালো লাগে। তাদের সঙ্গে কথা বললে মনটা আনন্দে ভরে যায়। এলাকার কাউকে দেখলে কিছুক্ষণ গল্প করি। এতে মনের তৃপ্তি মেটে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বড় ভাই নুরুল আমিন প্রায় ৩০ বছর ধরে বান্দরবান জেলা শহরে খাবার হোটেল চালান। তার দেখাদেখি আমিও এখানে চায়ের দোকান দিয়েছি। প্রতিদিন গড়ে ৫-৬ হাজার টাকা বেচা-বিক্রি হয়। প্রতিমাসে দোকান ভাড়া দিতে হয় এক হাজার ৮০০ টাকা৷’
জানা গেছে, আমির হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদিনের মেঝ ছেলে। তার সংসারে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। আর ছেলে মেহেদি হাসান এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তার বড় ভাই নুরুল আমিন বান্দরবান জেলা শহরেই জমি কিনে বসবাস করছেন।
বান্দরবানে ব্যবসা করার কারণ জানতে চাইলে আমির হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি সৌদি আরব, ইরাক ও ওমানে ৩৫ বছর এসির মিস্ত্রির কাজ করেছি। ৭-৮ বছর আগে আমার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। এতে চিকিৎসা করতে গিয়ে আমার জমানো ১৪ লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। পরে আমি বড় ভাইয়ের পরামর্শে বান্দরবান এসে ব্যবসা শুরু করি। এখনে আমার ব্যবসা ভালো চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বান্দরবানে শুধু ব্যবসা করি। আর লক্ষ্মীপুরে আমার পরিবার থাকে। প্রতি দুই মাস পরপর আমি বাড়িতে যাই। কখনো ৫-১০ দিন, আবার কখনো এক মাসও থেকে যাই লক্ষ্মীপুরে। তখন আমার দোকানটি বন্ধ থাকে।’