চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩ নং কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের ২৭ নং মহব্বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জরাজীর্ণ হওয়ায় মাঠে বসে চলছে পাঠদান। খোলা আকাশের নিচে প্রতিনিয়ত লেখাপড়া করে আসছে শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থী ।
জানা গেছে, ১৯১২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর জন্য ১৯৬৫ সালে একটি ভবন নির্মিত হয়। এরপর বিদ্যালয়টিতে ৫৪ বছর ধরে কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
হাজীগঞ্জ উপজেলায় বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন নতুন ভবন হয়েছে। অথচ এই প্রতিষ্ঠানটি অবহেলায় আর অব্যবস্থাপনায় রয়ে গেছে। ফলে দিনের পর দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়টি।
শিক্ষার্থীরা বলে, ক্লাস করতে এসে আমাদের ভয়ে আর আতঙ্কে থাকতে হয়। কখন যে উপর থেকে আস্তর খসে পড়ে। ওইসব ঝুঁকি এড়াতে মাঠে ক্লাস করানো হয়।
স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত জাহানের বাবা সুলতান আহমেদ টিপু বলেন, ‘বিদ্যালয়টি এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে, মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর পর বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত খুবই চিন্তিত থাকতে হয়।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন, ‘বিদ্যালয়ে যোগদানের প্রায় আট বছর অতিক্রম হয়েছে। ভবনের নাজুক অবস্থা দেখে উপজেলা শিক্ষা বিভাগে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে আবেদন করেছি। স্থানীয় সাংসদ মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বরাবর শিক্ষার্থীদের নিয়ে আবেদন করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. মাঈনুদ্দিন একটি অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় ভবন করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, উপজেলায় কোনো বিদ্যালয়ে নতুন ভবন হলে ২৭নং মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হবে সবার আগে।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহজাহান বলেন, ‘২৭ নং মোহাব্বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আসলেই খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ ব্যাপারে চলমান প্রক্রিয়া রয়েছে।’
বিদ্যালয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি সভাপতি হয়ে ব্যর্থ হয়েছি তা বলব না, আমার পূর্বেও যারা ছিলেন তারা বহু চেষ্টা করেছেন। তারপরও ফলাফল আসেনি।’