জিলাপি ব্যবসায়ী রুহুল আমিন। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। ১৫ বছর বয়স থেকে জিলাপি বিক্রির কাজ শুরু করেন। পুঁজিও অল্প উপার্জনও বেশি নয়। সামান্য আয়ে চলে তার সংসার। তবুও ভালোই চলে তার দিনকাল।
বুধবার (১৩ মার্চ) রাত ৮টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী ইউনিয়নের মজু চৌধুরীর হাটে রুহুল আমিনকে জিলাপি বানাতে দেখা যায়। চালের গুড়া দিয়ে বানানো গরম গরম মচমচে তার এই জিলাপি বেশ লোভনীয়।
জানা গেছে, মেঘনা নদীর ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে সংসারের হাল ধরতে প্রায় ২৫ বছর আগে রুহুল আমিন জিলাপি বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন। তবে তার কোনো স্থায়ী দোকান নেই। বলতে গেলে তার ব্যবসাটি ভ্রাম্যমাণ।
সদর উপজেলার মজুচৌধুরীর হাটে সপ্তাহে দু’দিন জিলাপি বিক্রি করেন। বাকি ৫ দিন উপজেলার মাতবার হাটে তাকে জিলাপি বিক্রি করতে দেখা যায়। তার এই কাজে সহযোগিতা করেন বড় ছেলে মানিক হোসেন। টাকা-পয়সার অভাবে ছেলেকে বেশিদূর পড়াশোনা করানো সম্ভব হয়নি গরীব বাবার পক্ষে।
রুহুল আমিন জানান, তিনি চররমনী গ্রামের হাবিব উল্লাহর ছেলে। মেঘনারপাড়ে তাদের বাড়ি ছিলো। ভয়াবহ ভাঙনে তাদের ভিটেমাটি সব নদীর বুকে হারিয়ে যায়। পরে তারা মাতবারহাট এলাকায় এসে বসবাস শুরু করে। অভাব-অনটনের সংসারের হাল ধরতে জিলাপি বিক্রি শুরু করেন তিনি।
জিলাপি বানানোর বিষয়ে জানতে চাইলে রুহুল আমিন বলেন, জিলাপি বানাতে তিনি চালের গুড়া ব্যবহার করেন। জিলাপি ভেজে চিনির শিরায় ভিজিয়ে মিষ্টি করা হয়। গরম থাকা অবস্থায় মচমচে থাকে। এক কেজি জিলাপি ৮০ টাকায় বিক্রি করা হয়। দিনে অন্তত ২০ কেজি জিলাপি বিক্রি করতে পারি। আবার অনেক সময় আরও কম বিক্রি হয়।