সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানসহ দুইজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মো. আমিনুর রহমান। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
অভিযুক্ত আরেকজনের নাম সাইফুল ইসলাম। সে জেলা ছাত্রলীগের কর্মী। তবে আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।
অভিযোগকারী আমিনুর রহমান সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীরা রাতে পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং ঘটনার মামলা গ্রহণপূর্বক সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের গ্রেপ্তার দাবি করেন।
অভিযোগে বলা হয়, মঙ্গলবার দুপুরে যমুনা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বড় বাজার যাওয়ার সময় জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি সাদিকুর রহমান সাদিক তার মোবাইল থেকে জরুরি কথা বলার নাম করে তাকে পশু হাসপাতালে ডেকে নিয়ে আসে। এ সময় সাদিক তাকে বলে, ‘আপনি বড় বাজারে ভালো ব্যবসা করেন। অথচ আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখেন না। কোন টাকা পয়সা দেন না। তাই সবাই মিলে আপনার কাছে পাঁচ লাখ টাকা ধার্য করেছি। আজকে যা পারেন দেন। বাকিটা কাল সাইফুলের (২নং আসামি) কাছে দেবেন।’
এ সময় আমিনুর রহমান বলেন, আমি বৈধভাবে ব্যবসা করি এবং নিজেও আওয়ামী লীগের একজন পদধারী ব্যক্তি। সুতারাং কোনো চাঁদা দিতে পারব না। আর এভাবে চাঁদাবাজি করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে না।
এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আমিনুর রহমানকে মারপিট করে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। আসামিরা আমিনুর রহমানের ব্যাংক থেকে ওঠানো দুই লাখ টাকা কেড়ে নেয় এবং আরও তিন লাখ টাকা বুধবারের মধ্যে দিতে বলে।
এ নিয়ে পুলিশকে জানালে ‘গুষ্টিসুদ্ধ শেষ’ করে দেওয়ার হুমকি দেন অভিযুক্তরা।
এ সময় পথচারীরা জড়ো হলে তারা চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে আমিনুর রহমানকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তবে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান বলেছেন, আমি কারো কাছ থেকে চাঁদ নেইনি। আমিনুর রহমান যে অভিযোগ দিয়েছেন সেটি মিথ্যা। সে একজন মাদক ব্যাবসায়ী।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।