চার কিলোমিটার সড়ককে কেন্দ্র করে দুই শতাধিক পরিবারের বসবাস। খানাখন্দে ভরা সড়কটিতে চলাচলে প্রতিনিয়তই দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয়দের। সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও রিকশা খানাখন্দের মধ্যে পড়ে অনেকেই আহত হয়েছেন। অনেকের যানবাহন বিকল হয়ে গেছে।
এছাড়া অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্যও কোনো গাড়ি ঢুকতে পারে না এই সড়কে। কিন্তু খানাখন্দে ভরা সড়কটি সংস্কারের জন্য চোখে পড়েনি জনপ্রতিনিধিদের।
এলাকাবাসীর কষ্ট ও দুর্ভোগ কমাতে মনির হোসেন সজিব নামে এক যুবক ব্যক্তিগত উদ্যোগে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন।
বলছিলাম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরীর হাট থেকে বুড়িঘাট পর্যন্ত সড়কটির কথা। এ সড়ক দিয়ে কমলনগর উপজেলার মতিরহাট ও চরমার্টিনে যাওয়ার সহজ মাধ্যম।
মনির চররমনী মোহন গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে ও চররমনী মোহন ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক।
স্থানীয়রা জানান, মজুচৌধুরীর হাট থেকে দক্ষিণের বেঁড়ির সড়কটি কমলনগর উপজেলার মতিরহাটের সঙ্গে যুক্ত ছিল। মজুচৌধুরীর হাট থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে বুড়িঘাট এলাকায় নদীতে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটি খানাখন্দে ভরা। চলাচলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে বলেও কোনো সুরাহা হয়নি। খানাখন্দে সড়কটি মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।
ওই সড়কে চলাচলকারী কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহী জানান, সড়কটিতে যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়। অন্য কোনো যানবাহন এই সড়কে চলে না। তবুও গর্তে পড়ে বেশ কয়েকবার তারা আহত হয়েছেন।
সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ সম্পর্কে মনির হোসেন সজিব বলেন, ‘এখানেই আমার বাড়ি। যাতায়াতের জন্য এই সড়কটি আমাকেও ব্যবহার করতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা এ সড়কে চলাচল করতে গিয়ে অনেক কষ্ট সহ্য করছেন। তাই তাদের কষ্ট কমাতে পাশের শুকনো খাল থেকে মাটি কেটে খানাখন্দগুলো ভরাট করার উদ্যোগ নিয়েছি। চার কিলোমিটার পুরো সড়কের খানাখন্দ ভরাট করা হবে। এতে ১১ জন শ্রমিক কাজ করছেন।’