রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘দেশে ট্রাকের যে আধিপত্য, তাতে ব্যবসায়ীরা রেলপথে পণ্য পরিবহন না করায় ওয়াগনগুলো (মালবাহি) ব্যবহার করা হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা চাইলে ওয়াগনগুলো ব্যবহার করা হবে। আপনাদের (ব্যবসায়ী) প্রতি আমাদের আহ্বান আপনারা পণ্য পরিবহনে রেলপথ ব্যবহার করুন। তাহলে সড়ক পথের চেয়ে বেশি সুবিধা দেওয়া হবে।’
দুই দিনের সফরে শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ও জিরোলাইনের রেলপথ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্যে বুড়িমারী স্থলবন্দরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই লালমনিরহাটের বুড়িমারী থেকে যমুনা সেতুর সংযোগ পর্যন্ত ব্রডগেজ নির্মাণে কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেই বুড়িমারী চ্যাংরাবান্ধ স্থলবন্দ হয়ে ভারত বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ চালু করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এ বছরেই চালু করা হবে আন্তঃনগর ট্রেন তিনবিঘা করিডোর এক্সপ্রেস। যাতে তিন দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা দ্রুত ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সেই সাথে ব্যবসায়ীরাও তাদের পণ্য পরিবহন করতে পারবেন। জাইকার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। খুব দ্রুত যমুনা সেতুতে পৃথক রেল সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। এটা হলে রেলপথে পণ্য বা যাত্রী পরিবহনে ঝুঁকি থাকবে না।’
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘আমাদের পথে ব্রডগেজ হলে ভারতের সাথে কথা বলে কানেক্টিভিটি করা হবে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু স্থলবন্দরে কানেক্টিভিটি চালু করা হয়েছে।’
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, সাবেক সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমী, রেলপথের মহাপরিচালক খন্দকার শহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক।
এর আগে রেলমন্ত্রী দু’দিনের সফরে সকাল সাড়ে ৮টায় ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনে করে লালমনিরহাট রেল স্টেশনে পৌঁছান। এরপর লালমনিরহাট সার্কিট হাউসে দুই ঘণ্টা বিশ্রাম শেষে একটি শাটল ট্রেনে করে বুড়িমারী স্থলবন্দর রেল স্টেশনে পৌঁছান। এরপর বুড়িমারী জিরোলাইন পরিদর্শন করে পুনরায় শার্টল ট্রেনে লালমনিরহাটের উদ্দেশে রওনা দেন।