বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘ইলিশ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ একক মৎস্য প্রজাতি, যা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি মাছ। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা তথ্যের ভিত্তিতে দেশে জাটকা রক্ষার্থে ছয়টি অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করায় গত ১০ বছরে ইলিশের উৎপাদন শতকরা ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃদ্ধির ধারা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে।’
শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে অভায়াশ্রমের প্রভাব, মওজুদ, নিরূপণ ও জাটকা সংরক্ষণে গবেষণা অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় এ কর্মশালার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার সারাদেশে ইলিশসহ মৎস্য খাতের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। ইলিশ বিষয়ে নিবিড় গবেষণা রাখার জন্য ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছর থেকে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের আওতায় ইলিশ জোরদারকরণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং তা চলমান রয়েছে। ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধিতে জেলে সম্প্রদায়কে আরও আন্তরিক হতে হবে।’
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান বক্তা ছিলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু। তিনি বলেন, ‘ইলিশ উৎপাদনের মূলে রয়েছে জাটকা রক্ষা। আর এই ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১৭ হাজার মেট্টিক টনে উন্নতি হয়েছে।’
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মো. রইসুল আলম মন্ডল, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. রাশেদুল হক, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান।