কাউকে না জানিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে আসন্ন আলিম পরীক্ষার খাতাসহ উপকরণসমূহ নিজ বাড়িতে রেখে ফেঁসে গেছেন চাটমোহর এনায়েতুল্লাহ ইসলামিয়া (ফাযিল) মাদরাসার কেন্দ্র সচিব ও উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের পাকপাড়া সিনিয়র মাদাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুর রউফ।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার তদারকি কর্মকর্তাকে দিয়ে কেন্দ্র সচিবের বাড়ি থেকে খাতাসহ অন্যান্য উপকরণ উদ্ধার করেন। একই সঙ্গে আবদুর রউফকে অব্যাহতি দিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার চাটমোহর এনায়েতুল্লাহ ইসলামিয়া (ফাযিল) মাদরাসায় অধ্যক্ষ পদ শূন্য থাকায় বিধি মোতাবেক মওলানা আবদুর রউফকে ওই মাদরাসায় অনুষ্ঠিতব্য আলিম পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব নিয়োগ করা হয়। আগামী ১ এপ্রিল থেকে ওই মাদরাসায় তার কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল।
সেই মোতাবেক গত ২১ মার্চ কেন্দ্রের তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের সহকারী ইন্সট্রাক্টর কল্যাণ কুমার সরকার ও রামচন্দ্রপুর সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ মওলানা আবদুর রাজ্জাক পরীক্ষার খাতাসহ অন্যান্য উপকরণ জেলা থেকে নিয়ে এসে পরীক্ষা কেন্দ্রে রাখেন। কিন্তু এনায়েতুল্লাহ মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মওলানা মো. আবু ইসাহকের সঙ্গে মত পার্থক্য দেখা দেওয়ায় শনিবার (২৩ মার্চ) কেন্দ্র সচিব আবদুর রউফ পরীক্ষার খাতাসহ উপকরণ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে না জানিয়ে নিজের ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যান। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের নজরে আসলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার অসীম কুমারকে অবহিত করা হয়। খবর পাওয়ার পরপরই কেন্দ্রের তদারকি কর্মকর্তা কল্যাণ কুমার সরকারের মাধ্যমে কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ মওলানা আবদুর রউফের ভাড়া বাড়ি থেকে খাতাসহ উপকরণসমূহ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
সহকারী ইন্সট্রাক্টর কল্যাণ কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেন্দ্র সচিব কাউকে না জানিয়ে পরীক্ষার খাতা তার নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেন না। আর এ বিষয়ে কেউ কিছু আমাকেও জানায়নি। জানার পর সেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে আব্দুর রউফের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সাংবাদিক পরিচয় জানার পরপরই তিনি ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।