জয়পুরহাটে মহান স্বাধীনতা দিবসে ব্ল্যাক আউট পালন না করাসহ নানা অব্যবস্থাপনার কারণে অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় জয়পুরহাট জেলা স্টেডিয়াম মাঠ ছেড়ে চলে যান সবাই।
জানা যায়, গণহত্যা দিবসে ১ মিনিট ব্ল্যাক আউট বাস্তবায়নের সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের রাতে এক মিনিট অন্ধকার রাখার ব্যবস্থা করা, ওই সময়ে কোনো গাড়িও চলাচল না করা, সাধারণ মানুষের হাঁটা-চলা বন্ধ রেখে পথে দাঁড়িয়ে থাকাসহ ব্লাক-আউট নিশ্চিত করার কথা থাকলেও জয়পুরহাটে তা বাস্তবায়ন হয়নি। জেলা প্রশাসনের নিমন্ত্রণ পত্রে যে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে, সেখানেও ‘ব্লাক আউটের’ উল্লেখ নাই।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানস্থলে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের আসন বিন্যাস ঠিক না রাখা, দীর্ঘ সময় মাঠে অনুষ্ঠান গড়ালেও প্রচার মাইকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান ও উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অশোক ঠাকুরের নাম ঘোষণা না করায় ক্ষুব্ধ ওই দুই জনপ্রতিনিধিসহ সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানস্থল বর্জন করে মাঠ ছেড়ে চলে যান।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান বলেন ‘জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অব্যবস্থাপনা দেখে ক্ষুব্ধ স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. সামছুল আলম দুদু অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ‘উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও আমি অনুষ্ঠান থেকে চলে আসি।’
স্থানীয় সাংবাদিকদের এ অনুষ্ঠান বর্জনের কারণ জিজ্ঞাসা করলে জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাকিম ফাররোখ জানান, প্রায় প্রতিটি দিবসে সকলের আসন ঠিক থাকলেও শুধুমাত্র সংবাদকর্মীদের আসন ঠিক থাকে না। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের উদাসীনতাকেই দায়ী করছি আমরা।
ব্ল্যাক আউটের ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী মিল্টন চন্দ্র রায় ও জেলা প্রশাসক জাকির হোসনকে দুপুরে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তারা মোবাইল ধরেননি।
এ বিষয়ে অনুষ্ঠান স্থলে জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হাসেন বলেন, ‘অনুষ্ঠান আয়োজনের মূল দায়িত্বে ছিলেন একজন এনডিসি। তিনি এই জেলায় নতুন হওয়ায় বিষয়টি বুঝতে পারেননি। আগামীতে সব কিছু নিয়ম মাফিক রাখা হবে বলেও জানান তিনি।’