লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে হতদরিদ্র চার নারীর নামে আসা ভিজিডি কর্মসূচির ২৪০ কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগ নেতার নাম মো. হারুন মিজি।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে ভুক্তভোগী নারীরা সুবিচারের দাবিতে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য, দুদক নোয়াখালী অঞ্চল, জেলা প্রশাসক ও জেলা ছাত্রলীগের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। হারুন রামগঞ্জ উপজেলার নোঁয়াগাও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক।
অভিযোগে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ভিজিডি কর্মসূচির জন্য উপকারভোগী নারীদের তালিকা করা হয়। এতে উপজেলার নোঁয়াগাও ইউনিয়নের নোঁয়াগাও গ্রামের হতদরিদ্র সুমি বেগম, জোহরা বেগম, নাসরিন আক্তার ও বিধবা জরিনা বেগমের নাম রয়েছে। কিন্তু ব্যাংক হিসাবসহ ভিজিডি কর্মসূচির সংশ্লিষ্ট সকল কাজ সম্পন্ন করেও তারা চাল পাননি। ৩০ কেজি করে তাদের দুই মাসের ২৪০ কেজি চাল তুলে নিয়ে যায় ছাত্রলীগ নেতা হারুন মিজি। ভিজিডির রেজিস্ট্রার খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে চালগুলো উত্তোলন করেন তিনি।
ভুক্তভোগী সুমি বেগম ও নাসরিন আক্তার জানান, জনপ্রতিনিধিদের কাছে অনেক ধরনা দিয়ে চালের কার্ড পেয়েছে তারা। কিন্তু হারুন মিজি স্বাক্ষর দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের দুই মাসের চাল তুলে নিয়ে যান।
ছাত্রলীগ নেতা হারুন মিজি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন রানার পরামর্শে আমি চালগুলো উত্তোলন করেছি। পরে নাম অনুযায়ী ওই নারীদের ঘরে চালগুলো পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
নোঁয়াগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন রানা বলেন, ‘হারুন কেন আমার নাম বলেছে তা আমি জানি না। আমি তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব। তবে, যারা চাল পাননি তারা পরিষদে আসলে তাদেরকে চাল দেওয়া হবে।’
লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশান বলেন, ‘চাল আত্মসাতের ঘটনায় ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’