শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে শুধু অবকাঠামো নয়, শিক্ষা পদ্ধতিতেও কিছুটা পরিবর্তন আনা হবে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য আমরা কাজ করছি।
শনিবার (৩০ মার্চ) বিকালে শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোণা রাজলক্ষ্মী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ালে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। গুজব ছড়ানোর অপকর্মের সাথে সম্পৃক্তদের কঠোর আইনের আওতায় আনা হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবে কান না দেওয়ার আহবান জানান দীপু মনি। বলেন, গত ১০ বছরে শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শুধু শিক্ষা ও বিজ্ঞানে নয়, শিক্ষার্থীদের মানবিকভাবেও সমৃদ্ধ হতে হবে। শিক্ষিত তরুণদেরকে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, আগামী এক মাসের মধ্যে ননএমপিও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পরীক্ষা বাতিলের কোনো চিন্তা নেই। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী তৃতীয় শ্রেণীতে পরীক্ষা উঠিয়ে দিতে জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ কাজ করছে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই দেশের উন্নয়ন হয়। এখন সড়ক যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, কৃষি, ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন সেক্টরে যে উন্নয়ন হয়েছে, তাতে জনগণ উপকৃত হচ্ছে। আর এ কারণে জনগণ জামায়াত-বিএনপির ধ্বংসাত্মক কোনো আন্দোলনে সাড়া দিচ্ছে না।
জনতা ব্যাংকের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ও শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহবায়ক আকরাম হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন সচিব নজরুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মুফাখখারুল ইসলাম, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. গাজী হাসান কামাল, ঢাকা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর তাসলিমা খাতুন এবং শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ।
আরও বক্তব্য দেন চন্দ্রকোনা কলেজের অধ্যক্ষ ড. রফিকুল ইসলাম, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাজু সাঈদ সিদ্দিকী, প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেসুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নকলার দুর্গম চরাঞ্চলে ১৯১৯ সালে তৎকালীন জমিদার গোপাল দাস চৌধুরী তার মায়ের নামে চন্দ্রকোনা রাজলক্ষ্মী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।