লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের নোয়াগাঁও ইউনিয়নে হত দরিদ্র নারীদের চাল আত্মসাতের ঘটনায় ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. হারুন মিজির বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা।
রোববার (৩১ মার্চ) রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল হাসান ফয়সাল মাল ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শুভ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি বিলুপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ভিজিডি কর্মসূচির জন্য উপকারভোগী নারীদের তালিকা করা হয়। এতে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের হতদরিদ্র সুমি বেগম, জোহরা বেগম, নাসরিন আক্তার ও বিধবা জরিনা বেগমের নাম রয়েছে। কিন্তু ব্যাংক হিসাবসহ ভিজিডি কর্মসূচির সংশ্লিষ্ট সকল কাজ সম্পন্ন করেও তারা চাল পাননি। ৩০ কেজি করে তাদের দুই মাসের ২৪০ কেজি চাল তুলে নিয়ে যায় ছাত্রলীগ নেতা হারুন মিজি। ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডির রেজিস্ট্রার খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে চালগুলো উত্তোলন করেন তিনি।
এ নিয়ে গত ২৭ মার্চ মাল্টিমিডিয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কমে সংবাদ প্রকাশ হলে আত্মসাতের চাল ইউনিয়ন পরিষদে ফেরত দেয় ছাত্রলীগ নেতা। পরদিন ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে ওই নারীদের প্রাপ্ত চাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।