অবশেষে নীতিগত অনুমোদন পেল `হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়'। এ খবরে আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন হবিগঞ্জবাসী।
সোমবার (১ এপ্রিল) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে জনপ্রাশসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোছাম্মৎ হামিদা বেগম স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
পত্রে বলা হয়েছে, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৯ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন, যা আপাতত কৃষি, পশু ও মৎস্য বিভাগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করবে। হবিগঞ্জের পছন্দসই কোনো জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হবে। তবে ঠিক কবে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে, তার দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আরো কিছু প্রক্রিয়া বাকি আছে।
২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ নিউফিল্ডে এক জনসভায় জেলাবাসীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট তিনটি দাবি উপস্থাপন করেছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহির।
দাবিগুলো ছিল- হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা এবং শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলা ঘোষণা করা।
ইতোমধ্যে মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন হয়েছে। যার নামকরণ করা হয়েছে ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ’। এছাড়া শায়েস্তাগঞ্জও নতুন এবং দেশের সর্বশেষ উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলাটির প্রথম আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এখন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিগত অনুমোদন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী তিন প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়ন হতে চলেছে।
হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহির বলেন, ‘হবিগঞ্জবাসী সব সময় জেলার চারটি আসনে নৌকাকে বিজয়ী করায় হবিগঞ্জকে বলা হয় দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও হবিগঞ্জবাসীর প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। জেলাবাসীর পক্ষে আমি তিনটি দাবি জানালে তিনি সবক’টি দাবি মেনে নেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে দুইটি বাস্তবায়ন হয়েছে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনটিও দীর্ঘদিন পূর্বেই খসড়া প্রণয়ন করার পর ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। এটি একটি বিশেষায়িত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হবে।’